ভূতনির বিয়ে
**************
বটতলায় রাত দুপুরে বাজে পঁইপঁই ঘড়ি
রহিম চাচা ঘুমিয়ে হাঁটে হাতে গরুর দড়ি।
হঠাৎ দেখে সামনেতে উড়ছে সাদা শাড়ি
চাচা বলে "ওরে বাবা! ভীত হলাম ভারী!"
ভূতনি বলে, "ভয় পাস না, আমি বড় একা
তুই যদি রাজি থাকিস বউ হয়ে দিব দেখা।”
রহিম ভাবে “সুন্দর! ভূতে কী যায়-আসে?
ঘরে বউ নাই, করি বিয়ে এ রাত্রির শেষে!”
বিয়ে হল বটগাছে, পেছনে শিয়াল কাঁদে
মন্ত্র পড়ে শকচুন্নি, লুঙ্গি পরে সাদা ধাঁদে।
চুড়ি পরে ভূতনিও, চোখে কাজল কালো
খাট ছাড়া ফুলশয্যায় বিছানা আছে ভাল।
কাঁপা গলায় রহিম ডাকে “বউরে তুই কই?”
ভূতনি হাসে- “স্বপ্নে থাকি আমি বাস্তবে নই।
হঠাৎ রহিম জেগে উঠে, দেখে তার পাশে
মুরগী, শিয়াল, বেজি মিলে একসাথে নাচে।
দিন পেরিয়ে মাস গেল, রহিম রইলো উদাস
প্রতি রাতে ভূতনির চিঠি, তাতে প্রেমের বাস।
একদিন রহিম হাঁসতে হাঁসতে ভূতনিরে কয়
"আমার বিয়ে হবেই, নিব তুরে ফুলশয্যায়’!"
গাঁয়ের লোক সবে বলে, “রহিম বড় তেড়া,
ভূতনির সাথে হবে বিয়ে, রইলো বউ ছাড়া।
ঘরে বউ নাই তাতে কি! মনেতে বঊ আছে
ক'জনে করে এমন বিয়ে! রহিম যা করেছে!
।।।।।।।।।।।।