জীবনের ছায়ামৃত্যু
*******************

সবাই বলে বেঁচে আছে
দেখে, হাঁটে, খায়, কথা বলে
তবু মনে হয়-
মানুষটা অনেক আগেই মরে গেছে।

কবরে নয়-
মরেছে ভিতরে, নিঃশব্দে।
স্বপ্ন ভেঙেছে, প্রেম শুকিয়েছে
মানুষের অযাচিত চাপা অভিশাপ
প্রতিদিন নিজে গিলে খেয়েছে।

চোখে তার আলো নেই
যা আছে- তা শুধু প্রলেপ
ভদ্রতার, দায়ের, মিথ্যে হাসির অভিনয়
যেন চামড়ার মুখোশে ঢাকা এক ক্লান্ত কঙ্কাল।

সে বাবা- যে সন্তানদের সাথে কথা বলতে পারে না।
সে সন্তান- যে প্রতিদিন ইচ্ছে ছুঁড়ে বাবা- মা'য়ের
সে ভাই- যে সব কিছু বুঝেও কিছু করতে পারে না।
সে স্বামী- যে ভালোবাসে, তবু বলতে ভয় পায়।

বেঁচে থেকেও মরে যায় সে
যে প্রতিকার চায়- কিন্তু চুপ করে থাকে
যে কবিতা লিখে– কিন্তু আর কাগজ পায় না
যারা ভালোবাসে- অথচ কেবল ব্যবহৃত হয়।

এই মৃত্যু নিঃশ্বাসের থেমে যাওয়া মৃত্যু নয়
এই মৃত্যুর কবর বা দাহ নেই
এই মৃত্যু এক চলন্ত মরণ যা মরতেই থাকে
এক নিঃশব্দ বিলীন হয়ে যাওয়া
জীবনের মাঝখানে হারিয়ে ফেলা নিজেকে।

বড় শোক কফিনে নয়,
সবচেয়ে বড় শোক-
বেঁচে থেকে ধীরে ধীরে কফিনে দিকে এগিয়ে যাওয়া।
।।।।।।।।।