মানুষ অমানুষের খেলা
***********************

পশুর চোখে জ্বলজ্বলে ক্ষুধা
তবু তাতে আছে এক স্নিগ্ধতা
আছে এক আদি সভ্য রীতি
হিংস্র হলেও থামে ক্লান্ত হলে।

কিন্তু মানুষ?
অসীম বুদ্ধির অহংকারে দংশন করে হাসি দিয়ে।
শুধে না- “তোমার কষ্ট কেমন?”
ভেঙে দেয় আস্থা, পিষে ফেলে স্বপ্ন
চোখের জল চুষে নেয় নীরবে।

মানুষ খোঁজে মানুষের দুর্বলতা
ভালোবাসা দেখালে ভাবে, “এই তো সুযোগ!”
আস্থা বাড়ালে টুটে দেয় ভরসা
আর যেখানে প্রেমের বিশ্বাস
সেখানে রোপন করে সন্দেহের বিষবৃক্ষ।
কেউ বন্ধু নয়, শুধু ব্যবহারের বস্তু
আজ উপকার করলে কাল অপকারে উপেক্ষা
শেষমেশ ছুড়ে ফেলে- ধুলোয় গড়াগড়ি।

পশু ক্ষুধার তাড়নায় মারে
মানুষ মারে মনের ক্ষোভে
গলা টিপে স্বপ্ন মারে
মারে নিঃশব্দে, ধূর্তভাবে
তবু বলে “আমি তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী।”

এই সভ্যতা মুখোশে মোড়া নরখাদকের থিয়েটার।
এখানে হৃদয় নেই
আছে শুধু হিসেব, লাভ-লোকসান।
এখানে কান্না এক নিঃস্ব শব্দ
শুধু মানুষই পারে মানুষকে নি:স্ব করতে।

মানুষের চোখে মানুষ এখন লাভের পরিমাপ
আবেগ অপ্রয়োজনীয় এক অলংকার মাত্র
স্নেহ, মায়া, ভালোবাসা সবই আজ পণ্যের মতো
ক্রয়-বিক্রয়ের পণ্যে পরিণত একেকটি অনুভব।
।।।।।।।।।।