দূরপাল্লার বাসে বসে আর কখনো কথা হবে না
জালানার পাশে। তা জেনেও পুরুষ মানুষ বিয়ে করে,
পাশের বাড়ির  ভাবীর রান্নার হাতটা পর্দাশীল হয়ে যাবে।
মিষ্টি সুরে ভাইয়া ডাকটা খালাতো বোন মামাতো বোন থেকে আর শোনা হবে না।
তোমার বন্ধুত্বের খাতা থেকে অনেক মেয়ের নাম মুছে  যাবে।
আর যে মেয়েটা তোমার বন্ধুত্বের খাতায় থাকবে,
তাকে আপন বোনের মত ব্যাখ্যা  করতে হবে।
যাকে নিয়ে  মোনালিসা ভেবে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলাম,
তার থেকে অনেক দিন পালিয়ে বাঁচতে হবে।
যাকে আমি বলেছিলাম তোমাকে ছাড়া কোন দিন বাঁচবো না।
মিথিলাদের আর বলা হবে না আমি কিশোর ছেলে,
হয়তো জীবনের শত ছবি মুক্তি পাবে।
আপন ঘরে আর কোন ছবি মুক্তি পাবে না।
হয়তো কর্মজীবী মানুষের বৃহস্পতিবার আর কোন দিন বেহুশপতিবারে রুপান্তরিত হবেনা ।
হবে না আর সারা রাতটা তাস খেলা গল্প উপন্যাস পড়া,
রাতে জোনাকি পোকারা ঘুমিয়ে পড়ল কিনা তার সাক্ষী হয়ে থাকা।
শহরের ঐ ল্যাম্পপোস্ট এর আলো নিভে গিয়ে হোটেল খুললে,
পরোটা-ডিমভাজি খেয়ে চিৎ হয়ে সারাদিন ঘুমানো আর যাবে না!
তবুও মানুষ সংসার করে ।
সুন্দর সংসার গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখে ।
অথচ আজ কতটা বছর কেটে গেল
আমরা তো দিব্যি ভালো আছি আল্লাহর রহমতে।
আসলেই জীবনের কোন অংশ ফেলে দেওয়ার মতন না,
জীবনের একেক অংশ একেক ধরনের গুরুত্ব।