প্রিয় হাসান
তুমি কিবা  আছো, অনেক দিনতো হইল,
তোমার হাতে দেহা নাই,
জানো এক মুহুর্ত তোমারে আমি ভুলতে পারিনা।
তোমার ছোট ছোট স্মৃতি গুলা
বারে বারে আমারে  কাঁন্দায়।
প্রথম যেইদিন তুমি আমারে দেখছিলা।
বারবার আমার চুলের প্রশংসা করছিলা।  
আমার কি যে ভাল লাগছিল।
আমি বলে বুঝাইতে পারমু না তোমারে,
তুমি বলতে আমার চুলের প্রেমে পইড়া গেছো।
মনে পড়ে সেই জ্যোৎস্না রাইতের কথা,
যে রাইতে তুমি আর আমি পুরা বিল
দুজনে ঘুইড়া বেড়াইতাম।
কতো স্বপ্ন ছিলো তোমার মনে আমারে নিয়া।
আমি তোমার মাথায় হাত বোলাইতাম আর তুমি ফেল ফেল কইড়া,
আমার দিকে চাইয়া থাকতা।
আইজ তুমি কুনু।
তোমার কথা বেশি  বেশি  মনে পড়ে আমার।
জানো তুমি যেইদিন বাড়ি থেইকা চইলা গেলা,
সেদিন তোমার হাথে বাঁশ বাগানে দেখা করার সময়।
আমার চাচাতো ভাই  আমাগো দেইখা ফালায়।
সেই কুত্তাটা বাবারে বইলা দিছে আমাগো কথা।
জানো আমার বাবা আমারে মেলা মারছে।
আর আমারে কইছে,  তাড়াতাড়ি বিয়া দিয়া  দিমু ভালো পোলা দেইহা।
কতোদিন হইলো তুমি বাড়ি থেইকা চইলা গেছো।
তোমার কোন দেহা শোনা নাই ।
এহন আমার বাবার-ছেলে দেইহা পছন্দ হইছে।
কাইল আমার বিয়া, কয়দিন যাবত আমি কিছু খাইনা,
শুধু তোমার কথা মনে কইরা চহের পানি ফালাই।
জানো তোমার মতো কেউ আমারে ভালোবাসে  না।
কেউ আমারে আর ময়না পাখি বলে ডাহে না।
আমি রাগ  করলে কেউ আমারে রাগ ভাঙ্গায় না।
আমি আর এ জীবন রাখমু না,
এ জীবন শুধু তোমার অন্য কারো না।
এই চিঠিটা যহন তুমি পাইবা তহন
আমি অনেক দূরে চইলা যামু ।
এই জন্মে তোমার আমার দেহা হইলো না, পরের জনমে দেহা হইব।
আমার কথা মনে হইলে,
তুমি চহের পানি  ফালাইও না।
মনে কইরো আমি  তোমার পাশেই আছি হগল সময়,,, ।


ইতি তোমার হতভাগা চামেলি।