শত প্রতিশ্রুতি ছলনার কৌশলে
ভালো থাকার আড়ালে ঘৃন্যস্পর্শে
আজ ছন্নছাড়া আমার জীবন।
কর্তব্য বেড়াজালে কথা  মাধুরী চক্রব্যূহে
নিজের জীবনকে তিলে তিলে বারবার
করেছি আত্মসমর্পন।


আমার  ভালবাসার মানুষ গুলো  
আমায় করে দিয়েছে অন্ধ।
আমার এই অন্ধ ভালোবাসার
ছোট্ট একটি গল্প,
আমাকে বলেছিল আমি ছাড়া নাকি
তার জীবন অচল।
অথচ আজ  দশটি বছর  যাবত
দিব্যি গেথে চলেছে,তার জীবনের
অন্যরকম রঙি স্বপ্ন l


ভাঙা গড়ার খেলায় শেষবার যখন
তাকে বিশ্বাস করেছিলাম।
আমার মনে হয়েছিল, পৃথিবীর সমস্ত কিছু
মিথ্যা হয়ে যাবে,,,
আমাদের এই ভালোবাসা মিথ্যে হবে না।
ভেবে ছিলাম সে সত্যিই পাগল
শুধু আমারই জন্য।
অথচ আজ অন্যের নৌকায় বসে
অন্যত্র ভাগ্য রচনা করে।


প্রায় এক যুগ অন্য মানুষকে ভালোবেসে
নিজের জীবনকে করে রেখেছে ভীষণভাবে ধন্য।
যার  সাথে আমি প্রায় অর্ধ যোগ ঘর বাধলাম।
আর তাকে নিয়ে আগামী জীবনের
হাজারো স্বপ্ন রচনা করলাম।


স্বপ্ন গুলো আজ স্বপ্নই রয়ে গেল।
আমাদের বিচ্ছেদের দিন, সে একটি
ভার বলল, না চলো আমরা নতুন করে
শুরু করি। অথচ সে  হাসিমুখে
বিদায় জানালো নতুনের আশায়।


আর যারা আমার কাছের মানুষ
তারা আমার বাবা-মা, যারা ছোটবেলায়
অন্যায়ের সাথে আপস করতে শেখায়নি।
আজ  তারা বারবার আমাকে আপস এর কথা বলে।  কেনো  আমি সাংসারিক জীবনে আপস করিনি।


  আর আমার  ছোট ভাই যাকে আমি সবচেয়ে বেশি ভালবাসতাম।
যখন আমি দিনরাত পরিশ্রম করে
সংসারে টাকা দিতাম।
আজ সে বড় ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে।  
আজ সে বলে  বেড়ায় সংসারের জন্য
আমি কিছু করিনি।    
আমি নাকি বাড়ির আবর্জনা-জঞ্জাল,  
আর আমি কিছু ভেবে পাইনা কেনো
আমার বিরুদ্ধে তার ব্যাপক ক্ষোভ l  


আমি তো পড়াশুনায় ভালো ছিলাম
এই সংসারের জন্য আমি
ছেড়ে দিয়েছিলাম পড়াশুনা।
আর তখন সংসারের সবচাইতে ভালো
ছেলে ছিলাম।
গ্রামের সবাই যে সে-কথাই বলতো।


আজ আমি বাড়ির বোঝা স্বার্থান্ধ সংসারে  আমার দিকে কারো খেয়াল নেই।
আজ আমি ভেবে কিছু পাই না ,
এই জগত সংসার এর মানে।
আজ সবাই নিজের কাজে ভীষণভাবে ব্যস্ত ।
জগৎ সংসারে আপন যত দেখি
স্বার্থের   ঊর্ধ্বে কেউ নয়।