স্বাধীন দেশে বসবাস করি.......................,
আমার বুকের ভিতর দহন হয় তখন, যখন দেখি
আমার বোন ধর্ষিতা হয়, প্রকাশ্য দিবা লোকে মানুষ
মানুষকে খুন করছে, যাত্রিবাহী গাড়ী তুলে দিচ্ছে
পথচারির উপর, ট্রেনে কাটা পড়ছে মানুষ এতো
নিত্য দিনের খবর!


দহন হয়! রাজনীতিবিদরা প্রকাশ্যে মাইকে জন-
সেবার কথা বলে, বাস্তবে চিটেফোটা ও চিহ্ন
খুজে পাওয়া দুরহ, দহনের রক্ত বিন্দু ঝরে রসুন
আর পিঁয়াজের মত খেটে খাওয়া মানুষ গুলো
আইনের তলায় পৃষ্টো, মজুর শ্রমিক তাদের নায্য
হিস্যা থেকে বঞ্চিত!


আরো ক্ষরণ হয় নিঃশেষ হওয়া নৃ-জাতির মানুষ
গুলো নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, খেয়ে না
খেয়ে জীবনের বাতি জ্বালিয়ে রেখেছে আবার মধ্য-
যুগিয় কায়দায় হামলা চালিয়ে ভিটে-মাটি থেকে
উচ্ছেদ করে রাস্তায় দাঁড় করিয়েছে। আইনের
চোখ কালো কাপড়ে বাঁধা।


দহনের জ্বালায় জ্বলি প্রতি বছর বন্যায় লাখো লাখো
জনগন জলে ভেসে হাবুডুবু খায় ঠিকানা খুজে নিরন্তর !
ক্ষুধার জ্বালায় কুকুরের খাবার কেড়ে খায়।
বুকের ভিতর আরো ক্ষরণ হয় রাস্তায় বেরুলে
নিরাপদে বাড়ী ফিরবো কি না।


দহনের জ্বালা বাড়ে সভ্য সমাজে ক্ষমতার দ্বন্ধ,
অস্ত্রের ঝনঝনানী, যে কোন ছোট ইসুকে কেন্দ্র করে
রক্তারক্তির ঘটনা ঘটে। আমি শুধু অসহায়ের মত
তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি আর অন্তর দহনে মরি।