এই দেহ ধীরে ধীরে নিমজ্জিত হচ্ছে মৃতদের কাতারে
বোধ বুদ্ধি হারিয়ে ঠাঁই শুয়ে আছে মৃত দেহের সারিতে
মৃতদের কেউ ভালবাসে না তাদের শীতল দেহ
তবুও কেন বারে বারে ছুটে যায় মন !


অন্ধকার ঘরে মৃত দেহ কল্পনা করে পার্থিব জীবনের জ্বালা যন্ত্রনা
মনের আকাংখা প্রবল ইচ্ছা প্রচন্ড ক্ষুধা দারিদ্রের জ্বালা তেমন !
একা একা কল্পনায় ঘুরপাক খায় আর বলে কেমন আছ
বলার খুব ইচ্ছে জাগে কিন্ত বাক শক্তি তো হারিয়ে গেছে ।


জন্মে ছিল দরিদ্র ঘরে বাবা মার যৌবিক চাহিদার ফসল
জন্মের পর ছেড়ে যায় উভয়ে, একা  ছিল শুণ্যতার ঘরে
মৃত দেহের পার্থিব জীবনে কোন আশা আকাংখা পুরন হয়নি
তবুও বৃথা চেষ্টা বেঁচে থাকার অলিক কল্পনার মাঝে ।


মৃত দেহ বেঁচেছিল ধরিত্রীতে দেখেছে সবুজ শ্যামল পৃথিবী
দেখেছে সভ্য সমাজে অসুস্থ্য প্রতিযোগীতা চাওয়া পাওয়া
উঠানামা দেখেছে কখনো মগ ডালে আবার কখনো পাতালে
বিভৎস রক্ত চক্ষু অন্ধকার গভীরে নুংরা সব কিছু।


গোলক ধাঁধায় ঘূর্ণী চাকায় পড়ে ভালবাসাকে হারিয়ে ফেলে
তাচ্ছিল্য পদাঘাত ছিল নিত্যসঙ্গী, হতাশা ঘিরে ধরে ছিল  
কেউ সাহায্যের হাত বাড়ায়নি কেউ দু’মুঠো খেতে দেয়নি
কোন একদিন নিজেকে নিজে এই দেহে রপান্তর করেছে !
কেউ এখন আর বিরক্ত করে না, কেউ অপমান করে না,
অচেতন দেহে ভাল আছে।