সবুজ ঘেরা ইছামতি নদী হিমেল হাওয়া বিলায়
লজ্জাবতী গাছের পাতা লজ্জায় মুখ লুকায়
ইছামতির শীতল পানিতে গোসল করি যখন
বারো মাসের ঋতুর আদর আলিঙ্গন করে তখন!


হরেক রকম পাখির ডাকে ভোরের ঘুম ভাঙ্গে
সুর্যের কিরন চুমু খেয়ে যায় জানালার ফাঁকে দিয়ে  
শত নদীর অন্তর দিয়ে বহিছে জলের ধারা
অজানাকে জানার পথে নিত্য হয় মন মাতোয়ারা।


তাল গাছের মাথায় দেখ বাবুই পাখির বাসা
নীল আকাশে বলাকারা উড়ে দেখতে বড় খাসা
সরিষা ফুলের হলুদ রঙ্গে ক্ষেত হয় যে রঙ্গিন
মৌমাছিরা আনন্দ ভরে মধু খেয়ে যায় নিত্যদিন।


নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে কৃষ্ণচূড়া গাছের সারি
গাছের মাথায় যেন আগুন লেগেছে চোখ ঝলসে হয় ভারী
গাঁয়ের দিকে মেঠো পথে হাটি যখন বাল্য স্মৃতি ধরে
কেমন করে ভুলি তোমায় জন্মের নাড়ী ছিঁড়ে।


গাঁয়ের বধুর খোপায় দেখ বেলী ফুলের মালা  
কলসি কাঁকে কোমর দুলিয়ে আনন্দে হয় মাতোয়ারা
ইছামতি আমার প্রাণের সখা অজানাকে জানে
বিনি সুতোর মালার মত হৃদয় ধরে টানে।