ইছামতী নদীর পাড়ে আমার বসবাস, ছোট বেলা থেকে আকাশে
সুর্য উঠা আর ডুবা হর-হামেশায় দেখেছি কিন্ত কখনো মনোযোগ
দিয়ে দেখা হয়নি!


ভোরের আকাশে মেঘের আড়াল টুকু সরে যেতেই বেরিয়ে পড়ে
আলোকময় সুর্য, সুর্য’র রশ্মি ছড়িয়ে পড়ে ধরার মাঝে।


কুঁয়াশায় ঢাকা নদীর রুপ, বর্ষায় নদীর যৌবন, পাল তোলা নৌকা,
মাঝ ধরা ট্রলার নদীর বুক চিরে যাতাযাত করত, তাল গাছের
মটকায় বসে দেখেছি, এযে আমার গ্রাম, এযে আমার জন্মভুমি।


নদীর ভয়ংকর রুপ আগের মত নেই, বর্ষাকালে বুক ভরা জল, ঢেউর
উপর ঢেউ, উথাল পাথাল ঢেউ’র মাঝে নৌকার চলাচল, জোৎন্সা
রাতের মিষ্টি আলো, জোৎন্সার আলো নদীর জলে পড়ে চারিদিকে
ছিটিয়ে পড়ার দৃশ্য উপভোগ করা নিত্য ঘটনা।


এখন চৈত্রী মাসে নদীর বুকে গরুর গাড়ী চলে, পায়ে হেঁটে মানুষ
পারাপার হয়, তখন মনে হয় ! কোথায় গেল, ভয়ংকর রুপ যৌবন,
শুধু ধুধু বালুর চর, তপ্ত বালুর চরে মরিচিকার আবেশ।


এই নদী, এই গাঁয়ের সাথে আমার নাড়ীর সম্পর্ক, জন্মভুমি মায়ের  
কোল, মরনের পরেও যেন এই কোলে ঠাঁই পায়।