রেখো না বেঁধে এতো সেধে ; এ মায়ার ধুম্রজালে
থাকিতে চাহে না মন, আপনে তে দুর্জন ;
বহুরূপী প্রকোষ্ঠের দেয়ালে
ভুলে ভুলে ভোলা মন ; নিঃস্বার্থ অর্পণ ,
অতঃপর নির্বাচিত-বাতাস চুম্বিত মরিচার শিকলে ;  
দারিদ্র্যের দ্বারে-বোবা অবিচারে, লুকোচুরি খেলা কত সকালে বিকালে !
নাজুক বদনে লাজুক পবন, ছুঁয়ে যায় দেখো
হিংস্র স্নেহের আড়ালে,  
সাধ জাগে শুধাইবার  
অসীম কাল জাগিবার  
ঋণগ্রস্ত বিবেক দংশিলে ।  
কাটিল দিন হেলায় খেলায় - ফিরিল জ্ঞান ও যে রাত্রি কালে ;  
আমায় রেখো না বেঁধে এতো সেধে ; এ জীর্ণ জড়তার জালে ।


মিছে সভ্যতার সহজ লভ্যতা ;
মহানতা আনয়ন করে দেয় ধন,    
বিবেক বানীর অসার ধ্বনি
খোঁড়াইয়া খোঁড়াইয়া আর চলবে কতক্ষণ ?
স্বপ্ন রে লুকিয়ে অশ্রু খানি শুকিয়ে , শ্বাস রুদ্ধ নীরব তর্জন
কবে যে শুনিবে ওরা মানবতা রে চিনিবে ,
হইবে সাধের করমর্দন !
আমারও ইচ্ছায়, কত বেদনার কেচ্ছায় – অভিরোষ সমান্তরালে ।
প্রলাপ নয় এ প্রাণপণ -
উড়ে যেতে চায় মন
ধুলোয় মিলে বৈশাখী মেঘের দলে ।  
প্রতিবাদ মুখর ছোট্ট হৃদয় , বৃহৎ জগতের রোষানলে  
আমায় রেখো না বেঁধে এতো সেধে; ভাগ বাঁটোয়ারার যাঁতাকলে ।