শ্যামলী
তুমি কেমন আছ?
এখনো কি তুমি সেই চালের দোকানে  বসো ?
তুমি যদি সেদিন চাল বাকি না দিতে তাহলে হয়তো আজ বাংলাদেশের জন্ম হতো না...!

শ্যামলী
তুমি কি ভাল আছ?
এখনো কি তুমি সেই দাদার কথা মনে রেখেছো?
তুমি যদি সেদিন আমাকে বিশ্বাস না করতে তাহলে হয়তো আজ বাংলাদেশের জন্ম হতো না...!

শ্যামলী
তুমি কি বুঝতে পার?
তুমি আমাদের কে কত বড় সাহায্য করেছো?
তুমি যদি সেদিন আমাদের পাশে না থাকতে তাহলে হয়তো আজ বাংলাদেশের জন্ম হতো না...!


শ্যামলী
তুমি কি জানো?
আজ চল্লিশ বছর পরেও বাংলাদেশের মতো চির তরুন তোমার ঐ মুখখানি আমার চোখে আজও ভাসে।


শ্যামলী
আমি তোমার দোকানের
চালের বাকি পরিশোধ করেছি তবুও
কেন যেনো মনে হয় আমি তোমার কাছে এখনো ঋণী।


শ্যামলী সাহা
তুমি কোথায় আছো, কিভাবে আছো,
বেঁচে আছো নাকি মরে গেছো তা জানা নেই
কিন্তু তোমার সেই কচি কোমল মুখ,
ও দুর্দিনে তোমার উপকারের কথা
চিরকাল স্মৃতি হয়ে রবে এই বাংলার বুকে।