পেছনে পড়ে থাকা শহরের বুকে,
তোমার হাতে হাত রেখে হেঁটেছিলাম,
ছুঁয়েছিলাম তোমার ঠোঁট।
তখন সূর্য লজ্জা পেয়েছিল,
মেঘের আড়ালে লুকিয়ে গেছিল।
আমি তুমি এক হলে সব সময় সে মেঘের আড়ালে লুকিয়ে পড়ত।
সেই তো কত লোকই লুকিয়ে পড়ে!
আমরাও ছিটকিনি র পেছনে লুকিয়ে কতবার নিজেদের দেখেছি-
মনে পড়ে?
তখন আমরা কিছুই জানতাম না।
অজান্তে তোমার বুকের ওপরে ভুল করে একবার দাগ করে দিয়েছিলাম।
সেইটা লুকোবার জন্যে দুজনেই কিরকম চিন্তিত ছিলাম।
তোমার বাড়ির পাশে সেই দুজনকে মনে আছে,
যারা নিজেদের উন্মুক্ত করত-
চাপা চিৎকারে?
তারা আজ কোথায়?
তাদেরও কি আমাদের মতন বিচ্ছেদ হয়ে গেছে?
নাকি তারা আজও চিৎকার করে নিজেদের উন্মুক্ত করে?
আশা করি তারা কেউ আমার মতন কবিতা লেখে না।
শহর আমাদের কাউকে রাখলো না।
তাড়াবার সময় এক গাদা স্মৃতি ঢুকিয়ে দিলো।
এমন সব জিনিস যা মোছা যাবে না।
সত্যি তো সুমন ঠিকই বলেছিল,
"ওই শহর জানে আমার প্রথম সব কিছু"।
এখন ও একা একা হাঁটলে সব মনে করিয়ে দেয়
গড়ে মাঠ, আউত্রাম ঘাট, কলেজ স্ট্রিট, নিউ মার্কেট...
ধুর! আর ফেরত ও নেবে না কেউ
তুমিও না শহর ও না।