এখন নামছে সন্ধ্যাকাল,
দিন কেটে গেছে না-হয় যা’হোক করে
সন্ত্রস্ত মানুষ সব গুটি গুটি পায়ে ফিরে
সেঁধিয়েছে ঘরের অজ্ঞাতবাসে;
এদিকে শহর ছেয়ে গেছে ভাইরাসে।
এরপর সন্ধের হাত ধরে রাত নেমে এলে
অবশিষ্ট প্রতিটি আলোকরশ্মি শুষে নিয়ে
অন্ধকার পরিব্যাপ্ত হয় আনাচেকানাচে,
দিশাহীন জনহীন রাজপথে।  


ঘরবন্দী মানুষ এই অন্ধকারকে ভয় পেয়েছে,  
অন্ধকার নামলে
যেন কী একটা তার ফুসফুসীয় পথ রোধ করে
সে ডুবে যেতে থাকে অতলে  
আরো অন্ধকার আরো বায়ুহীন কোনো প্রকোষ্ঠে ।
নিমজ্জনের তীব্র কষ্ট ছড়িয়ে পড়ে তার শরীরের প্রতিটি স্নায়ুর অভ্যন্তরে
যেভাবে ময়াল সাপ জীবন্ত গিলে নেয় শিকার তার প্রকাণ্ড শরীরে ।


শহরে ছেয়ে গেছে ভাইরাস
ত্রস্ত মানুষ তার ফুসফুসীয় পথটিকে আগলে
নতুন করে ফিরে এসে বাঁচতে চেয়েছে ।
অজ্ঞাতবাস শ্রেয় হয়েছে তার কাছে—
অতীত রণাঙ্গনে মানুষ যেভাবে লুকিয়েছে বাঙ্কারে, সুড়ঙ্গে
আর শত্রু এসে ঘুরে গেছে চারপাশে ।
আজকের মানুষের কাছে এ এক নতুন যুদ্ধ এই শতকের বুকে ।