অনেকদিন কোনো কবিতা লিখিনা, বলা ভালো লিখিনা তোমাকে নিয়ে।
সময়ের হাতে সঁপেছি সকল প্রবৃত্তি
এখানে কাজের জগতেও ছড়িয়ে যে অঢেল রোমান্টিসিজম
নাহয় বুঁদ হয়ে থাকি সেখানে কিছুকাল।


শুরুটা ছিল অ্যানিমাল সাইকো-ফার্মাকোলজি নিয়ে
সারট্রালিন আর ফ্লুওক্সেটিনের সাথে
আর কোন ড্রাগ মেশালে হবে অবশেষে কিস্তিমাত
বদরাগী পোষ্য যে ভীষণই ভয়ংকর,
নাস্তানাবুদ হয়ে মানুষ ঘুরে যায় সমাধান চেয়ে।


এরপর আবার ঢুকেছি হরমোনে
কখন দিতে হবে থাইরক্সিন
আর কখনই বা কার লাগে প্রজেস্টিন
এসবের সিম্ফনি উঠলে তালে তাল ঠুকে
দেখেছি মুখর মঞ্চও ধূসর তখন নিজের মনের কাছে।


অধ্যবসায়ে একেবারে ডুবে
তত একাগ্র মনে একে একে খুঁজে গেছি
নামডাকওয়ালা গোত্রের মেডিসিন যত,
বস্তুত এমাথা ওমাথা এক করে
স্বভাবতই কোনো অবসর না রেখে সামনে।
উদ্দেশ্য একটাই --
যদি কোনো মোড় আচমকা ঘুরে যায়
কোথাও হয়ে থাকা কোনো গবেষণাপত্র থেকে
হঠাৎই চিনতে পেরে তুলে নিতে পারি
সম্ভাব্য কোনো সমাধান সূত্র,
এতদিনের অসফলতা অবসানে যদি মেলে কোনো আশার আলো অবশেষে।
আর্কিমিডিসিও উচ্ছ্বাস লালন করি বুকের মধ্যে গোপনে ও সযত্নে।


সন্ধানে দোষ নেই , সাধনা তো মানুষেরই কাজ
নাহয় কবিতা নাই বা লিখলাম ক'দিন
তবুও তো ঠিকঠাক নেবুলাইজেশনে
শ্বাসকষ্ট সামলে বেড়ালটা বাঁচুক আরো ক'টাদিন।
দুরন্ত কিডনির রোগ
যার কেড়ে নিয়েছে জীবন প্রায়,
তাকে যদি ঠেলা দিয়ে কিছু সামলে দেওয়া যায়--
রক্তের বাড়ন্ত ফসফরাসটা কমিয়ে আর হিমোগ্লোবিন একটু বাড়লে যদি বেচারি কুকুর আরো কিছুদিন বাঁচার দমটুকু ফিরে পায়।


নাহয় তোমার কথা ক'দিন নাই বা পড়ল মনে
নাহয় কবিতার ওসব আলিঙ্গন চুম্বন আর আশ্লেষ আপাতত আর্কাইভেই থাক স্থগিতাদেশ নিয়ে,
কবিতা তো ছড়িয়ে আছে সাধনার নিত্য পথে
বিজ্ঞান দিয়েছে তার দ্বার খুলে আমার সামনে
সেখানেও কত বাঁক, কত সফল ও অসফলের দ্বন্দ্ব,
তবুও নিরন্তর নতুনের সন্ধান যেখানে
কবিতা কম বেশি লেখা হয় সারাদিনে
তারও দিনলিপি জুড়ে।


সারট্রালিন, ফ্লুওক্সেটিন, গাবাপেন্টিন, সালবিউটামল, থিয়োফাইলিন, ফেক্সোফেনাডিন, ডার্বিপোয়েটিন নামগুলোও সময়ে অসময়ে চূড়ান্ত কাব্যিক, কী প্রচণ্ড তাদের তাপ-উত্তাপ, আর সফলতা পূর্ণ প্রয়োগে,
সমাপতনেও এ এক দুরন্ত পোয়েটিক জাস্টিস।
সমতা রক্ষা হয় এভাবেই এখানে
জ্ঞানে ও বিজ্ঞানে।


কবিতা পৌঁছে যাক নতুন ফরম্যাটে
কোনো এক ঘুমভাঙা নতুন চায়ের সকালে
তোমার নিভৃত মুহূর্তে। এভাবেই।