কতবার বলেছো খেয়ো না এভাবে
লিভারটা বিগড়োবে এবার
কিন্তু কী বলি বলতো তোমায়
বাড়ির সামনেই রেল লাইন
না না, ওখানে জীবনটা সঁপে দেওয়ার কথা ভাবিনি কোনোদিন মোটেও,
অন্তত কয়েক পাত্তর খাওয়ার পর তো নয়ই--
কিন্তু ওই রেললাইনের ওপারের রাস্তাটাকেই কাঁটাতারেরও ওপার ভেবে
কতবার রুবাইয়ার কথা মনে পড়েছে!
রুবাইয়া ছিল আমার প্রথম প্রেমিকা
ও-বাংলার মেয়ে
আমাকে বলেছিল কোনো এক পাতা ঝরা
এরকম  হলুদ ফেব্রুয়ারিতেই
ওকে ভালোবাসতে পারলে গোটা বাংলাদেশ ঘুরে দ্বিতীয় আর একটি রুবাইয়া খুঁজে
পাবোনা কো আমি--
এতোটাই ছিল ওর আত্মবিশ্বাস আমার প্রতি
আর আমাদের ভালোবাসার প্রতি
এমনটাই ছিল ওর প্রেমের টান ও শক্তি
আমার জন্য,
কিন্তু সেই রুবাইয়ারও আজ কোনো খবর নেই আর আমার কাছে
হয়তো আমার থেকেও পেশিবহুল কোনো পুরুষ
ধরা যাক তার নাম কোনো এক আসলাম বা ফিরোজ বা কোনো এক ইলিয়াস
বা হবে হয়তো সে এক সমীরণ বা রজতাভ,
তাকে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে!
তুমি তাও বলেছো, এতো কিছু শুনেও বলেছো,
আর খেয়ো না লক্ষ্মীটি
আমার কথা তো ভাবো একবার
লিভারটা যে একেবারেই যাবে
কিন্তু কী বলি বলতো তোমায়
তোমার কথা ভাবতে গেলেই আমার সুদর্শনার কথা মনে পড়ে যায়
বুকের ভেতরটা চিন চিন করে ওঠে ভীষণ
তুমি আমার জন্য গোটা জীবনটা দিয়েছো জানি
তবু সুদর্শনা আমাকে একদিনই দিয়েছিল
তার সবকিছু পুরোপুরি!


ইনফিডেল আমি,
এরকম নমুনা আর কেউ কোনোদিনও চাইবে না জানি,
তাই তো কয়েক পাত্তর খেয়ে শুধরোতে চাই, শুনেছি পেটে দ্রাক্ষারস পড়লে সত্যি কথাগুলোই বেরিয়ে আসে!


সত্যি বলছি আজ তাই
তুমি যদি হারিয়ে যেতে সেই অভিমানে সেইদিন
রুবাইয়া আর সুদর্শনার কথা জানার পর,
তাহলে আমাকে আজ আর কেউ এভাবে বারবার পীড়াপীড়ি করতো না
না খাওয়ার জন্য এতো বেশি দ্রাক্ষারস!
এই তফাতটাই সত্যি হয়ে গেল শেষমেশ
জীবনের এতোগুলো বছর নষ্ট করে ফেলার পর !