মাঝে মাঝে মাথার ভিতর তৈরি হয় বিপর্যস্ত শূন্যতা
আচমকা আমাকে পেয়ে বসে না লিখতে পারা,
কতবার হয়েছে
একমাথা ভোঁ ধরা শূন্যতা নিয়ে
খোলা পাতায় আঁচড় কেটেছি অনর্গল,
অথচ সন্তানের মতো
মুখে চুমো খাওয়া আর একটি আকাঙ্ক্ষিত কবিতার জন্ম দিতে পারিনি কিছুতেই।


অথচ এতটা বন্ধ্যা হওয়ার কথা ছিল না মোটেও --


ওদিকে বাস স্ট্যান্ড এদিকে স্টেশনের সাবওয়ে
সব জলময় শুধু জলময় এক স্রোতের নিচে,
কতবার এমনও হয়েছে
সহনাগরিকেরা বাধ্যত বন্দি ঘরে ঘরে
এবং তাদের হাজারো পীড়াপীড়ি অনুরোধ সব অগ্রাহ্য করে
আমি জল ভেঙে এগিয়ে দাঁড়িয়েছি পাড়ার মোড়ে
আর্ত পথকুকুরদুটির মুখে দুটি খাবার তুলে দেব বলে--
ওরা তো আরোই অসহায় এই দীর্ঘ ঝঞ্ঝা দিনে।


এরপরও এমন হয়, হয়েছেও কতবার--
এত অনিশ্চয়তা, এত রোমাঞ্চ, এত বিপদকে আপন করে নেওয়া কাঠখড় পোড়ানো জীবন হওয়া সত্বেও
মগজকে কারফিউ বেষ্টনীতে রেখে
কবিতাশূন্য আলসেমিতে দিন কেটেছে আমার।


কালেভদ্রে পাগলাঘন্টির শব্দে সম্বিত ফেরে মগজে
বারবার ঘষার পর অক্ষর স্পষ্ট হয়;
জানা যায়--
জীবন অনেকসময় নিজেই কবিতা,
বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর ঠিক যেন জলা-জংলার জলো বাতাস,
ক্যানভাস জুড়ে তার শুধু রেখাপাত ও শব্দযাপন।


কবিতা এবার সন্ধি করে নেয় সাতসকালে। কপালের লিখন খণ্ডাবে কে!