অন্তত ওই দুটো ক্লান্ত চোখে শেষদিনও দেখেছিলাম
বাঁচার কী ভীষণ আকুতি--
মৃত্যু আমার কাছে হঠাৎ অনবধানে শুধুমাত্র পা পিছলে পড়া,
আর দু-এক সেকেন্ডের ব্যবধানেই সবকিছু যেখানে ইতিহাস।


অথচ জীবিত মানুষের মন ও কল্পনার সমস্ত রোমান্টিসিজম
একবার লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে নিংড়ে নিয়ে আসা যাক।
আর তখন সমস্ত প্রাণবাহী রক্ত সেখানে সঞ্চালিত হোক
শরীরের যাবতীয় ভাইটাল অরগ্যানে।
এবং ওই মারাত্মক পা-পিছলানো দু-এক সেকেন্ডকে ঠেকিয়ে রেখে
আইসিসিইউ, আইটিইউ প্রভৃতি ভেন্টিলেট করুক মুমূর্ষু হৃদয় ও শ্বাসযন্ত্রকে।
থাকুক কিছু দীর্ঘমেয়াদি লড়াই,  দুর্ধর্ষ কেমোথেরাপির ধকল আর স্ট্রেসমার্ক।
দূরছাই করুক মৃত্যুকে ক্যান্সার হসপিটাল --
হেরে যাওয়ার চিহ্নমাত্র নেই যার ঝকঝকে পরিচ্ছদে।
আশ্চর্য এই যে যার প্রতিটা দিনই প্রথম দিন হয়ে থাকে।


এতোকিছুর পরেও ঠেকানো যায় না পোর্টাল অবসেশন
নাকি এটাই গোড়ার কথা, সোজা কথা !
চিলে কোঠা আর কার্নিশ ছুঁয়ে
যেন বিমানের স্বাভাবিক অবতরণ ঘটে বিমান নগরীতে।
মধ্যরাত ঘুম কাড়ে মেডিসিনের ছাত্রেরও
কবিতার নেশা তার তখন দু-চোখে।


জীবন বুঝে নেয় তার অন্তিম ভালোবাসাকে প্রগাঢ় আলিঙ্গনে।
শেষদিনে জীবনকে সেটা বুঝতেই হয়।