তোমার সাথে দেখা করবো বলে এখান থেকে
দু'চাকায় গিয়ে থেমেছি ধর্মতলায়
দুপুর গড়িয়েছে বিকেলের দিকে
রাস্তার তাত উঠে এসে
আমার গাল স্পর্শ করলে
পেয়েছি ঠিক যেন তোমার স্পর্শ,
অবশেষে শক্তি পেয়ে সাহস জুগিয়েছি নিজেকে।


তুমিও এসেছো
ওই তাপদগ্ধ পিচরাস্তার
উষ্ণতা মেপে মেপেই
তাই যতই পিচ গলুক,
হলকায় পুড়ে যাক মুখমণ্ডল
এ সুযোগে তোমাতে আমাতে মিলে
ওই চারমাথামোড় রাস্তায়
উষ্ণতা বিনিময় করেছি
হাতে হাতে,
তাপধোঁয়া বিদীর্ণ করে দৃষ্টিবিনিময় চলেছে
দু'জোড়া চোখে।


তোমাকে দেখে ওই রাস্তার যত ফেরিওয়ালা, টানারিক্সাওয়ালা, ঠেলাওয়ালা, গাড়িওয়ালা
এই 'বিকেল ধরি ধরি' দুপুরেই এক লহমায় এক মুহূর্ত থেমে
দেখে নিয়েছে
তোমার গালে দগ্ধ একটি দিনের তাপের আঁচড়টিকে!
আমার কেন জানিনা এরকম দেখলেই কাঠবিড়ালির পিঠের কথা মনে পড়ে।  অথচ রামচন্দ্রকে আমার বরাবরই ঠাণ্ডা প্রকৃতির মনে হয়েছে। শুনেছি তাপরুষ্ট হননি কখনো সেভাবে!
আর কী আশ্চর্য,  গোটা ধর্মতলা ওই একমুহূর্ত সময়ই শব্দহীন থেকেছে !
এবং আশপাশে যত আমার মতো দু'চাকার সওয়ারি, ব্যাপারি আর পায়চারি করা মানুষ ছিল, তারা সবাই এমনকি উর্দিপরা হুইসেল বাজানো আইনওয়ালা পুলিশের দলও
তোমাকে দেখে,
তোমার ওই শেষদুপুরের
সোমত্ত বিকেল বিকেল ভরাট চেহারার দিকে তাকিয়ে
কাজ ভুলে থেকেছে
ওই একমুহূর্ত নিষ্পলক ! শরীরও এভাবে তাপ ছড়ায় তাহলে।


এবং এও কী আশ্চর্য,  এই প্রথমবার দেখেছি,  এই তাপগলা দিনেও এসবে আমার কোনো জ্বলুনি হয় না। নাহয় রামচন্দ্র খুবই ঠাণ্ডা প্রকৃতির ছিলেন !  
আমি কি তাহলে শক্তি হারিয়েছি অবশেষে!


সত্যই তাপের কী অপার মহিমা!