নিবিড় নক্ষত্রের রাত অন্ধকারে সমাচ্ছন্ন হলে
ফুঁসে ওঠে আত্রেয়ী, পুনর্ভবা, ট্যাঙ্গন
ঘোলা জলে ঢেকে যায় আদিগন্ত সবুজ চরাচর
বাতাসের রোঁয়া ওঠে, কাটা দিয়ে মাথা তুলে দাঁড়ায়
মূহুর্মুহূ মগজে তুমুল ভাঙ্গন, ছড়িয়ে ছিটিয়ে
পড়ে থাকে সুখের বাসা, শান্তির তুলসীতলা
বেগবতী ছুটে যায় গ্রাম-গ্রামান্তর


কাল যে ছেলেটা পড়শীকে বাচিয়েছিল
প্রাণহীন জলে ভেসে ভেসে আরও ফুলে গেছে
ঈদের মেলায় নতুন সালোয়ার কেনা মেয়েটা
ঝোপের আড়াল থেকে মুখ বার করে চিত হয়ে আছে
ভেসে আসা হাঁড়ির ভিতরে দুটি শিশুর নিথর শরীর
নারকেল গাছের গাঁয়ে আটকে আছে মৃত মোষ
পাতায় ঝুলে আছে কেউটে, ডালে পায়রা


আকাশে কালিমা ছেয়ে গেলে সেও ফর্সা হতে চায়
জল ঢেলে ধুতে চায় কলঙ্কের রাশি
আর, আচমকা ফুঁসে ওঠে আত্রেয়ী, পুনর্ভবা, ট্যাঙ্গন
নিবিড় নক্ষত্রের রাত অন্ধকারে সমাচ্ছন্ন হলে
জীবনের সাজানো বাগানে নেমে আসে
বানভাসী মৃত্যুর নাচ, পিছনে মহামারী।