কি নাম ডাকব আজ? রোচনা? আগন? বেত্রবতী? না কি...


তখনও ভোরের আলো জাগেনি আকাশে
তুই আমি পালিয়ে এসেছি হরপ্পার জঙ্গল থেকে।
হ্যাঁ, তখনও ধ্বংস হয়নি আমাদের হরপ্পা
মাজগরের নজর এড়িয়ে সেই লগ্নে পালিয়ে
অগুন্তি নদী, বনজঙ্গল আর মাঠ পেরিয়ে
এসেছিলাম উল্কাচলের শষ্যসবুজ এই গাঁয়ে।


তারপর কত কত সন্তানের জন্ম দিল এই গ্রাম
কতবার আমরা হলাম পিতা মাতা, কতবার...
গাঁয়ের সব সন্তানই তো তোমার আমার
আমরাও তো গাঁয়ের সবার পিতা মাতা
সব মাঠ, সব জঙ্গল, সব ঘর--- সবই তো আমাদের
আমার একার বলতে তো শুধু তুই আর
এই চম্পানগর। এই চাই চম্পানগর।


চাই চম্পানগর আমার দেশ। আমাদের দেশ।
তুই কতবার নাম বদলে হয়েছিস
রোচনা, আগন, বেত্রবতী, উর্বশী, বেহুলা...
আমাদের চম্পানগরও নাম বদলে
আর্যাবর্ত হয়ে আজ ভারত।


আমরা ছিলাম, আছি, থাকব।
কার সাধ্য জমি থেকে মাটিকে আলাদা করবে?
শিকড়ে বেঁধেছি মাটি। আমাদের ভালবাসা খাঁটি।