জসিমুদ্দিনের নক্সী কাঁথার মাঠে
ঘুরে ফেরে শিশু ভোলানাথ
চাঁদ সুলতানার খেয়ালি স্বপ্নে
সাঁঝরাতে উড়ে যায় আকাশ-রঙা শাড়ি


কচি হাতটি ধরে দাদি  তাকে এখানে এনেছিল
পাঁচ দশক পরে এখনও শিশুরাই আসে
দাদি এখন ঘুমিয়া রয়েছে অশ্রুভেজা কবরে
তার পাশে মনের শিকলে টান দিয়ে নাচে খ্যাপা বাউল
হাজার বছরের বন্ধ দরজা খুলে গেলে
জ্ঞানের আলোয় ভেসে যায় পিপাসার্ত মন।


সেদিন ছিল স্কুলের সোনালী পঞ্চাশ
উৎসবের ঝড়ে উড়ে এসে ঘরে ঢুকে পড়ে
দুটি পাখি। বাসা বাঁধে বইয়ের ফাঁকে
আলো-আধারির সুযোগে তক্তপোষের পাশে
নক্সী কাঁথায় খেলা করে শিশু ভোলানাথ।  


সন্ধ্যার চাঁদ উঠে আসে পূব আকাশে
ঘামে ভেজা মা ফেরেন সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পর
চাঁদের কানে আসে রূপাইয়ের গান। সে গানে
মায়ের আকাশরঙা শাড়ির পাড় বেয়ে
দূর আকাশে তারার দলে ফুটে ওঠে
চাঁদ আর শিশু ভোলানাথ –নক্সী কাঁথার মাঠে।