(এটি ঠিক কবিতা নয়। হতভাগ্যদের প্রতি আমার প্রণাম)


আমাকে ছুতেও পারবে না।
আমি এখন লাশ হয়ে শুয়ে আছি
ভাঙা ভবনের নিচে।
এই চির অন্ধকারে শ্বাস নেওয়ার অক্সিজেনও নেই।
আমার চারপাশে লাশ হয়ে আছে
আমারই ভাই, আমারই বোন
দুদিন আগেও একসঙ্গে সবাই কাজ করেছি।


ঠিক পাশেই যে বোন শুয়ে
চিরঘুমে যাওয়ার আগে সে লিখে গেছে--
“ভাইরে, তোর পড়ার খরচ আর দিতে পারব না”।
অন্যপাশে দুনিয়া ছেড়ে যাওয়া দম্পতি
মরার আগে বলেছে – “এ দুনিয়ায় হল না,
অন্য দুনিয়াই একসঙ্গেই থাকব, এই অঙ্গীকার...”।


আমাকে তোমরা হয়তো কোনদিন খুজেই পাবে না।
চাঙড় সরিয়ে, দেওয়াল ভেঙ্গে লাশ বার করার আগেই
আমার গোর হয়ে যাবে
বালি, সিমেন্ট, কংক্রিটের রাশির নিচে।
গোলাপ-রজনীগন্ধার দরকারই হবে না।


পারলে আমাদের গোরের উপর একটা মুর্তি বসিও
হতাভাগী বাংলা মায়ের...
যার ভান্ডারে বাড়ন্ত রক্ত, টর্চ আর অক্সিজেন সিলিন্ডার...
ছেলেমেয়েদের ঠেলে দেয় নিঃশব্দ মৃত্যুর দিকে...