সেই অসহ্য গরমের রাত
পশ্চিম আকাশে আগুনে মেঘ
আর ঝোড়ো বাতাসের চিহ্ন
বারবার আভাস দিয়েছিল –
আজ একটা কবিতা জন্ম নিতে পারে।


একটা কবিতা জন্ম নেবে বলে
এই উত্তর-বসন্তেও কোকিলগুলো
রাতভর কু-ডাক ডেকে গেল।


সারারাত বোটায় তটস্থ হয়ে
একভাবে জেগে থেকে থেকে
খুব ভোরে কুঁড়িগুলো ফুটে গেল।


রাস্তার কেলো ও ভোলারা
নিঝুম নৈঃশব্দ খান খান করে
সারা রাত ঘেউ ঘেউ করে গেল।


কচুবনের পাশে নালা-নর্দমায় জন্মানো মশাগুলি
রাতভর গুনগুন করে বলে গেল
‘একটা কবিতা আজ জন্ম নিতে পারে গো,
একটা কবিতা আজ জন্ম নিতে পারে…’


চুপচাপ চোখ মেলে দেখে যায় যে প্যাঁচাটা
সেও ড্যাবাচোখে রাতভর দেখেছিল
প্ল্যাটফর্মে বছর ছয়েকের ল্যাংটো ছেলেটাকে…


সারারাত দু’বার গুনগুন কেঁদে
আর দশটা মেয়ে-মদ্দর মাথার কাছে
একঠায় বসে থেকে থেকে
ভোর হতে না হতেই
সব কবিতাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে রেললাইনে ফেলে
‘আবাগীর বেটি’ রুগ্ন মা’কে চমকে জাগিয়ে
চিৎকার করে উঠল –


‘প্যাড জ্বলে… খাবার দিবি কি?’