(বিদ্রোহী কবিকে প্রণতি জানিয়ে)


এমন তো নয় যে,
অশান্ত তরুণের দল আর প্রেমের জন্যে লালায়িত নয়,
এমনও নয় যে কোনও বিষাদসন্ধ্যায় হাস্নাহানার গন্ধ
পুত্রহারা পিতার বেদনার ক্ষতে প্রলেপ দেয় না, কিংবা
গভীর রাতে কারাগারে কোনও বন্দী আনোয়ার
‘মা’, মা’ বলে কারাগারে ডেকে ওঠে না...


মরুবালুকায় খেজুর পাতায় নূপুরের তাল নয়,
মরুবালিকারা এখন বাঁচার রসদ খোঁজে বেলিড্যান্সে।
এখন সরসীর জলে ষোড়শীর মুখ দেখবে কে?
ফেসবুকে লক্ষ লক্ষ কিশোরী-তরুণী মুখের অবাধ তালাশ
লাল সিরাজির রঙিন ছোঁয়ায় রোজই শোনা যায়
‘দিল ওহি মেরা ফাঁস গেয়ি...’


তুমি নেই বলে সত্যিই কোনও তফাৎ হয়েছে কি?
সেই নয়নভরা জল আর আঁচলভরা ফুল
কিংবা বিনোদবেণীতে বাঁধা পড়া মুগ্ধ হৃদয় –
সব তো সেই একই আছে!


কেবল শহীদের খুনে রাঙ্গা শাতিল-আরব আর
দজলা ফোরাতের পাড়ে ‘বাঁধছে ঘাঁটি দস্যু রাজায়’।
অত্যাচারিতের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী...
সবাই রণক্লান্ত। নিজের ঘরে গিয়ে মুখ লুকিয়েছে...
এই আগুনঝড়া দিনে কে বলবে,
‘আয় পাষাণী এবার নিবি আপন ছেলের রক্তসুধা’?
কে গাইবে আনন্দময়ীর আগমণী ?