স্যর অঙ্কটা কেটে দিতেই
সবার সামনে হিমালয়ান গর্বের বেলুনটা ফটাস
অঙ্কটা কিছুতেই মিলছে না, কিন্তু তোর –‘ডান’;
এক-সমুদ্র বিরক্তি আর ক্ষোভ তখন তোকে ঘিরেই


তারপর জেগে জেগেই কেটেছে কত জামঘুম রাত
কতবার ঈর্ষার ছুরিতে ঘায়েল হয়েছে তোর ছায়াপ্রেমী লোভ
কিশোর মনের গুমঘরে জমেছে ক্ষোভের ঘন বারুদ


অথচ, বার বার ছুটে গেছি স্কুলের শেষ বাসের পাশে
-- ওই তো তুই বসে… ওই বুঝি মুচকি হাসলি।
আমাকে দেখেই...? …


আজ জ্বর, পড়তে যাইনি। স্যরের
বাড়িতে ফেলে আসা অঙ্কের খাতাটা
ফেরত দিয়ে এলি... মুখে সেই মোনালিসা হাসি।
তাতে মেশানো যেন তাচ্ছিল্য আর ব্যঙ্গের বহুরূপী!
বুকের ভেতর গন্ধক-পটাস-মোমছাল…


ক্ষোভ আর বিরক্তিতে খাতা খুলেছি
তোর চেনা হাতের লেখায় অঙ্কটা করা আছে
স্যর ‘রাইট’ দিয়েছেন।


তারও নিচে গুগুল থেকে ধার করা
স্মাইলির মুচকি হাসি, আর লেখা,
-‘ভালবাসি’.


বাকি অঙ্কটা কি তুই সত্যিই মিলিয়ে ছিলি?