পিছনে সব জানলা খোলা


পিছনে সব জানলা খোলা
ডানে বামে উপড়ে আকাশ চাতালে জানলা মিইয়ে যায়
পথের সমুখে খোলা; পিছনে খোলা।


পিছনে সব জানলা খোলা তেপান্তরের মাঠের মতো
গোগ্রাসে চেয়ে থাকে। পৌষের কুয়াশা ঢাকে খানিক
রৌদ্র খোলা জানালায় উঁকি দেয়; ঝকমকিয়ে শিশির শুকায়।
লজ্জাবতীর গায়ে যতটুকু ওম ছিল ছুঁয়ে
উঞ্চ কথনে তাও উবে গেল বেশ চপলতায়
খেলছিল রৌদ্র তখন, যৌবন বেলার মতো করে
খাপছাড়া প্রদাহ পিছনে পড়ে রয় তখনও।
পথিক ছুটে সমুখে বায়ু ময় উজানে ভাটিতে
পথে পথের আগল খোলা; জানালার মতো
ফিরে দেখে না অতীত।


অতীত যে পথিকের, পিছনের জানালা
খেলেছে কত খেলা?
কৈশোর, যৌবন, বৃদ্ধ অহমিকা; চপলতা চঞ্চল দুর্গম
বিরহ সঙ্কট ভালোবাসা বিলাস অহরহ
অতীত কঙ্কালে গাঁথা আজও
পথিক বয়ে বেড়ায়, আজীবন বুক পাঁজরে
সেথায় সদ্য, সর্বনাশ বেঁচে উঠে।


১৪২৮/ পৌষ/ শীত কাল