আশ্বিনের পঞ্চপদ


হাটু জলে ফুটপাত


শরতের মেঘ ভিজালো
পথের বাঁক! হাটুজল ফুটপাত নিচে তল
গাড়ী গুলো চলছে দ্যাখো
জলের বাজনা বাজিয়ে;
ফুটপাতের নকশা যুগোল
খসে পড়ে ধীর লয়ে! আগাছা গুলো নৈছাবদ
জল ফুরালেই উঠবে জেগে
সাহেব সুবোদ হাঁটে দ্যাখো
খালি পায়ে; ময়লা জলের গন্ধছুটে।


শরতের মেঘ


একটু আগে,
সাদা মেঘের পাহাড় জমা
আকাশ জুড়ে!
ভবনগুলো দেখছে উঁকি দিয়ে
খানিক বাদে, সাদামেঘ জলে ধূঁসর
বৃষ্টিভরা রঙ্গ রাগে রাঙা
যেন ঝরবে এখনিই; মাথার উপর
পাহাড় সম উঁচু দালানের গা ঘিঁসে
দাঁড়িয়ে মেঘ রঙ্গবেশে
ঝর ঝর ধারায় ঝরিয়ে পড়ে
সুরম্য দালানের অঙ্গ ধুইয়ে।


ঘুমে কেটে যায় মধ্যন্ন ভোজ


এমন দিনে চকচকে পথ ঘাটে,পথিক হাঁটে গুনগুনিয়ে। চঞ্চল হাওয়া যেন কাশবন হতে
ভেসে আসে উম্মাতাল মগনে। পত পত হাওয়ায় উড়ায়। ঝুপরির চাউনির পলিথিন; ইটের উনুনে ধুঁয়া উঠে চাল সিদ্ধ। রাতভর আধপেটা! তার উপর ধকল শরীরে, জোছনা চুলায় মাংস সিদ্ধ। ঘুমে কেটে যায় মধ্যন্ন ভোজ।


কামুকি শহর


শরতের বৃষ্টি কামুকি শহরের
যেন জৌলুস ছড়ায় দিগ হতে দিগন্তে, হাজার বিড়ম্বনার
রৌদ্র মশালেও ঢেকে যায়, মিইয়ে যায়
সোদা দিন বদলের আহল্লাদে।


এ নগরের এক অফুরান কামাঙ্খা জাদুর টান যেন-
কাহারে বা রঙ্গে পোড়ায়,
কাহারে বা রুদ্রো রসে মোজায়
কাহারে বা চেতনার অবগাহনে মাতায়
কাহারে বা স্বর্ণশিখরে বসায়
কাহারে বা নন্দন রুপে ভাসায়
কাহারে বা কাঙাল ক্ষুধায় পোড়ায়


একফালি চাঁদ


কাল সারারাত বসে ছিল পার্কের বেঞ্চিতে, একফালি চাঁদ। তার জোছনা কুহরে, আদি অন্ত না ভেবে জোনাক স্বজন আশ্রয় নিয়ে ছিল ঝোপের ঘাসে। আর অপেক্ষায় ছিল, নিশুতি রাতের  গ্রহন লাগা চাঁদের পালিয়ে যাওয়া। বিবর্ণ জোছনা মুছে গেলে, জেগে উঠে সদল বলে জোনাক স্বজন নগর পাহাড়ায়। নিয়ন আলো চুপসে আসে। খিরকির স্তুতি বাসনার মোলায়েম বায়ু বয় ধীর লয়ে, রাত গভীরে প্রণয় আঁধার জেঁকে বসে।


১৪২৪/১৮, আশ্বিন/শরৎকাল।