-------বিমর্ষ বৃত্ত


বৃত্ত তার প্রলম্বিত শরীরটাকে বার বার
ছিঁড়ে ফেলার বাসনায় মাতে; কিন্তু বাসনা তার সময় ক্ষয়ে
নেতিয়ে পড়ে কালের ঘূর্ণি পথের প্রবঙ্চনা।
পথ ভুলে আবার বৃত্তের গায়ে
খর্বকায় বাসনায় নিমজ্জিত হয়; নিঃশেষ হবার সামান্য বাঁকি
তাতেই আশ্রয় ফিরে পায়।
সেই আশ্রয় একদিন দির্ঘায়িত হয়
বাসনা খর্বকায় থেকে বৃদ্ধি হবে; বর্ধিত বাসনায় রোমাঙ্চকর
বৃত্তের শরীর যেন উতল ঢেউ।
এই তো বাঁধ ভাঙার কাল
আবার সেই একই প্রলুব্ধ চাঙ্চল্য; জোয়ারের বেবস আক্রোশ
এবার বেড়িয়ে যাবে মন বল অফুরান।


কিন্তু বৃত্তের শরীর কাঠামো অদম্য
প্রলয় বিভীষিকায় কাঁপে না মোটে; ধীর লয় নিজ সদল পথে অবিচল
করাত ধারে তার শরীর কাটে না।


তাই তো প্রনমি বাসনা
বার বার ক্ষয়ে যায় নিজের পথে; ক্ষয়ে ক্ষয়ে নেতিয়ে পরে
বাসনা বিমর্ষ আজ আঁধার রাতের মতো।
এমনি বৃত্ত ভারে কঙ্কাল বাসনা শব
বৃত্তের আঙিনায় শুধু ছুটাছুটি; মুক্তির নেশায় কাটে দিবানিশি
বাসনা বৃত্ত অমোঘ স্বপ্নচারী।


১৪২৫/ ফাল্গুন/ বসন্ত কাল।