বিন্দুর স্ফুরণ


সমতল মাটির ধুলো যখন পথে পথে উড়ে
আর সদ্য বাতাস ছুঁয়ে বাঁচে
তার সে কি চঞ্চলতা, চপলতা উন্মাদনা!
আবার পথিক পদলেহনে আমোদিত।
বিনা বাক্যে কত কথা রচে?
সিঁথানে যেমন ঘুম নেতিয়ে পড়ে অমোঘ মোহে।


ছায়ার মধ্যে ছায়ার বেড়ে উঠা
যেন জলে পোনা মাছ জল ছবিতে ভেসে বেড়ায়
ছায়ার মধ্যে ছায়ার লেহন;
তয় বাড়ে উঠা নিত্য আকাশ জুড়ে নীলের আভরণ।
কথা কয়ে বেড়ায় হাওয়ার কলে ঐ ছায়া
নিয়ে চলে আমায়,"বিন্দুর স্ফুরণ" এ
ছায়ার বেড়া জালে, অন্তর জাল বিছানো বৃত্ত ময়
ঘুরে ঘুরে শুধুই ধুলোর ছায়া
বায়ু সমুখে ক্ষ্যাপা ঐ চঞ্চল ভারি।


ঢলে পড়া বেলায়
ধুলায় ছায়ায় বেড়ে যায় ঐ আলোর খাতিরে
আলো চুমে ছায়া ধুলোর আবিরে মেইয়ে যায়
ক্ষণ কালের উন্মুখ,
বিষমে ফিরে বেশুমার ধুলিকোনায় মিশে যায়
নিত্য দিনের অহমিকা; ধুলো ছায়ার নিত্য সহবাস
আমাকে পোড়ায় সর্বনাশে।


১৪২৮/পৌষ/শীত কাল।