ভুতু সোনার শরৎ পসরা


==রং তুলি


নীল আকাশে সাদা মেঘ
দলে দলে ছুটে,
কাশবনে ঐ কাশফুল
বাতাসে উড়ে।


কাশফূলের তুলা গাঁথে
ঘাস ফুলের ডগায়
দিগন্তে ঐ মেঘের পাহাড়
ঐ সুদূরে গাঁও।


নদীর পাড়ে খেয়া পারাপার
গঞ্জে হাট বসে
দূর দুরান্তের হাটুরিয়া
আসে গঞ্জের হাটে।


ভুতু সোনার রং তুলিতে
সাদা মেঘের ভেলা
নদীর চরে কাশবন
পাখ পাখালির মেলা।


===ভুতু সোনা আঁকে


শরত এলে শুভ্রতা ফিরে
আকাশ বাতাসে তাই
সাদা বেণু বাজে।


ভুতু সোনা গাঙ্গের পাড়ে
পলি মাটির ভগ্নদশা
পাখির পালক খুঁজে।


বালু চড়ে সাদা বকের ঝাঁক
জল থৈ থৈ ঢেউ ঝিকিমিকি
সাঁঝের আলো গায়ে।


জল রং এ কাগজ যায় ভিজে
তা থৈ থৈ যা ইচ্ছা তাই
ভুতু সোনা আঁকে।


===তুলির আঁচড়


মন পবনের কাগজের নাও
সাদা মেঘে উড়ে, উড়ে ঘুড়ি রাঙা মেঘে
স্বপ্নেরা দল বেঁধে।


রাঙা ঘুড়ি সাদা মেঘে
দ্যাখো ঝাঁকে ঝাঁক, দিগন্ত পাড়ে পাখির ঝাঁক
উড়ে এঁকে বেঁকে।


মেঘ ফুঁড়ে ঐ পাখির ঝাঁক
আকাশ নীলে যায় উড়ে, ভুতু সোনা তুলির আঁচড়
টেনে ধরে তেপান্তরে।


১৪২৫/ আশ্বিন/শরতকাল।