-ভাসান দৃশ্যপট


দৃশ্যপট বুকে ধরে আকাশ ঐ। সেথায় আলো।
নিত্য আঁকে ছবি। রংতুলি ঐ মেঘ বুনে যায়।
ছোপ ছাপ আঁকি বুকি। মেঘের উল্কি যায় ভেসে।
কোথাও সাদা ধুয়া উড়ে। কোথাও কালো মেঘের গাদা।
মেঘ চাতালে ভাসে। তার উপর নীলের নীলাম্বরী।
কদাচিত পাখির ঝাঁক উড়ে। পালক জ্বলে রৌদ্রে।
ভাসান দৃশ্যপট। দিগন্ত ছুঁয়ে চুপটি করে বসে।


এবার ঐ দৃশ্যপট। প্রকৃতি বীণা বাজায়।
সদা মাটির গন্ধে মাতাল হয়। বেবস সবুজ ঘাসে।
সবুজ লতা পাতা। ফুল ফল ধানক্ষেত মাঠে প্রান্তরে।
ছড়িয়ে যায় দিকবিদিক। সৃষ্টি খোলা যৌবন সাজে।


-সেই দৃশ্যপট


সেই দৃশ্যপট। তুমি ছিলে। কতটুকু জায়গায়?
দিগন্ত ব্যপিয়া। উত্তর দক্ষিণ। পূর্ব পশ্চিম।
ভূতল আসমান জোড়া। দুচোখের সীমানা পাড়।
আকাশ ফুঁড়ে। যোজন যোজন শূন্য লয়।
আমি তুমি শূন্য বিন্দু। বিন্দু কি মিলে রয়?
কোথায় মিলে সে বিন্দু? বিন্দু বিনে কি সে শূন্যে মিলে?
শূন্যে কি শুধু বিন্দুর বাস? সে বিন্দু কতটুকু জুড়ে?
অমোঘ নিয়মে সদা তৎপর। ফিরে দেখা কাল।


সেই দৃশ্যপটে। তুমি আমি কেউ নেই।
শুধু ঘাসফুলের রেণু উড়ে। নিয়তি পরম্পপরা।


-তুমি নেই


আঙ্গিক পাল্টে যায়। তুমি নেই তাই বোধ হয়।
দু'টানায় আকাশ পুড়ে। তুমিও পুড়েছিলে।
মেঘমোল্লারা ভেসে যায়। ভেসে যায় তোমার অতীত।
ফেরা হল না আর। তোমার শত চেষ্টাতেও।
অতীত টান বড়ই মায়ায়। সে টানে হেরেছ বার বার।
জেগেছে দ্রোহ। সপ্তাবর্ণা জালে ফেঁসে গেছ নিজেই।


নিজের মোহ জাল। প্রেম বলে কিছু নেই।
অন্তঃসার অলিক। তবে যাতনা আবির ঢালে।
কোন কিছুতেই নেই তুমি। আবার সেই তুমি।
আঁধার রাতে ফিঁকে জোছনা। অসম্ভব সুন্দর নেই তুমি।


১৪২৫/ বৈশাখ/গ্রীষ্মকাল।