===নাটাই ঘুড়ি


বসন্ত দ্বারে পুষ্পঞ্জলী
বাসন্তী কি চেয়ে ছিল তা? এমন দান প্রাতে
দৈন্যদশা কেটে গেল
ফিরে এল রঙ এর হাওয়া।


খসে পড়া পাতার কথা
কে রাখে মনে?
মুর্চ্ছা দহনে ফিরে ফিরে বাজে
সুরেলা কোলাহল।
অমরাবতীর চেতনার বানে
ফিরেছে আজ লঙ্গবনে
নাঙা হাতে ভরেছে আজ
এ কোন প্রতীতির সম্ভার।


এখনো এলো মেলো দো'টানায়
তুমি রয়ে গেলে, বসন্ত বিলাপ
দিগন্ত পাড়ে ফিরবে বলে;
পথে ঘাটে তাই মেলা বসে; নাটাই ঘুড়ির।


=======দেখতে দেখতে বেলা ডুবে সারা


দেখতে দেখতে বেলা ডুবে সারা। ইশারায় কয়ে যায় আকাশ। মেঘ নেই আমার দ্বারে, কি দেই তোমায়? বৃষ্টি ছাড়া। ছিটে ফোট নীল নিতে পারো। আমার এটুকুনই সম্বল। একটু পর তাও যাবে হারিয়ে। প্রহর এখন কালের প্রাতে। শুদ্ধ প্রাণে অঞ্জলি লহ মোর। আকাশের এমন কথায় তুমি খিলখিলিয়ে হেঁসে, দিলে উড়িয়ে। কেমন করে ছুঁবো তার নীল? ভালোবাসার আতসী কাঁচ নেই যে আমার কাছে। তাই তো তুমি বুঝতে শিখেছ। ভালোবাসার অপরাহ্ণ বলে কিছু নেই। ভালোবাসাকে বুঝতে হয়, নিত্য নতুন করে।


=====এমন দহন


এমন দহন
চিতা নেই পাশে, তবু কেন পোড়ায়?
অর্হনিশি পলে পলে ক্ষণে ক্ষণে
এমন কি সুধা পান করেছিনু তার?
টানের পরতে টান; তবুও না ছিঁড়ে
লম্বা দিগন্ত পাড় হতে হতে
পৃথিবীর শূণ্যবলায় পাড়ে আঁধারে মিশে।


এ দহন নিঃশেষ হবার নয়
এ দহন মুর্চ্ছা যাবার না
এ দহন ক্ষয়ে যাবার না
এ দহন শুধুই পোড়াবার
এ দহন শুধুই চাইবার বিড়ম্বনা
এ দহন শুধুই বিষবৃক্ষে পানি দেয়া।


১৪২৪/ ১২ ফাল্গুন/বসন্তকাল।