একটু ভালোবাসায় ফেরা


___নদীর মত চলবো একা
আমি আর বাসবো না ভাল কখনও
নদীর মত চলবো একা,
হাসবো কাঁদবো শুধু একা; থাকবো একা জোয়ার ভাটায়
স্বপ্ন মেঘের ঘনঘটায় যতই ডাকুক মেঘ বালিকা
দেখবো না আর পিছন ফিরে।


আকাশ নীলের উদাস হাওয়া
মাখবো গায়ে আমি একা,
চাঁদের আলো যতই ডাকুক রাতে আমায়
থাকবো আমি আঁধার বনে; আলো চেয়ে জোনাকির
আঁধারে ডুবে ভিজবো নেশায়।


তন্দ্রায় স্বপ্ন যতই দেখাক
নেশায় মাতাল হব না আর,
আঁধার হাওয়ায় শুদ্ধ হব
আঁধার চুমে জুড়াবো হূদয়; রুপের ছোঁয়া যতই লাগুক
নদীর মতো চলব একা।


___বয়স এখন কত?
সাঁঝ ঘনালে আলোর ছোঁয়ায়
আঁধার ঝেঁকে বসে,
সন্ধ্যা তারার মিটমিটে আলো
স্বপ্ন খুঁজে মরে!
তাই বুঝি স্বপ্নোর খোঁজে
অরন্য আকাশ, তারা জ্বলে নীলে
সাগর খেলায় জোয়ার ভাটার;
বয়স এখন কত? ঐ আকাশ তোর
বয়স এখন কত?  ঐ সাগড় তোর
বযস এখন কত?  ঐ মহূর্তগুলোর
বয়স এখন কত?  ঐ চাওয়া পাওয়ার
বয়স এখন কত?  ঐ যে তোর ভালবাসার
এসব অবান্তর কথা; কেন জানি আজব মনে হয়?
কিন্ত সাঁঝের আবছা আঁধারে দ্বাড়িয়ে ‍ঐ
ওর বয়স কি নিত্য বাড়ে?


_____ভাল বাসলে সইতে হয়
বাসবে যদি ভাল আমায়, কেন কর ছলচাতুরি
গাঙ্গের জলে ঢেউ লুকায়,
হও কেন যে পাষানী?


পথের বাউল গাইছে গান, একতারার সুরে
ভাল বাসলে সইতে হয়
না পাওয়ার যাতনা যত!


চোখের মায়া কথার জাদু, বুকের ভিতরে ব্যথা,
এমনি করে ভালবাসার ঐ
নষ্ট সময় কষ্টের মেঘ উড়ায়।


____বধুয়ার মান ভাঙ্গাতে
বধুয়ার মান ভাঙ্গাতে, হলাম বিরহী
ভালবাসার মিথ্যা জালে কেন পোড়ালি।
তারা যেমন চুপি চুপি মিষ্টি কথা কয়
বধুয়ার মিষ্টি ছোঁয়ার পরশ বুলায় দক্ষিণা হাওয়া।
আকাশ জোড়া মেঘের দল করছে ছুটাছুটি,
ভালবাসার বধুয়ার আঁচল উড়ছে দিবা-নিশি।


___ও সুজন বন্ধুরে,
ও সুজন বন্ধুরে, এ কি খেলায় ?
আমায় করিলে পাগল।


ও সুজন বন্ধুরে,
তোর রুপের এমন ঝলক, বুক যায়রে পুড়ে
কোথায় ‍গেলে পাইরে দেখা
মন নাহি মানে।
ও সুজন বন্ধুরে,
মন মজালি মন হরিলি, ঘুম কারিয়া কোথায় লুকালি?
পথে ‍পথে ঘুরে বেড়াই
পথিক বাউল সঙ্গ।


_____যাসনে উড়ে আর
ওরে ও, মেঘের দল, যাসনে উড়ে আর
আমার বধুয়া তোরে ডাকে
একটু জলের আশে।
তৃঞ্চাবুকে বধুয়া আমার, বসে উঠানে
তোর জলে  আশ মিটাবে
একটু দয়া কর!
চাতক যেমন মেঘ ধিয়ানে, বধুয়া যে তাই
তোর যে দেখা পেলে বুঝি
বধুয়া বেঁচে যায়।


_____নদীর ধারে তোর বাড়ী
নদীর ধারে তোর বাড়ী, জোয়ার ভাটা আসে
তাইতো তোর উতল যৌবণ
নদীর ঢেউয়ে ভাসে।
নদী তোর যে সর্ব সহা, নদীর জলে গান
সেই নদীতে স্নানে মজে
ভালবাসার গান গাও।


তোর ঘাটে যে ভিড়লো তরী, নতুন সওদাগর
ভালবাসার সওদা তোর সখিসনে
নদীর জল কান্দে সখি হয়ে উদাসী।


____বধুয়া আমার মন হরিলো
ওরে ও, মেঘ বালিকা, যাসনে ছুটে আয়
বধুয়া আমার মন হরিলো,
দেখবি ছুটে আয়।
মাদল বাজে বধুয়া বাড়ীর,রঙ্গ সখীর গান
হাওয়া বাজায় পাতার নপুর
আকুল করে প্রাণ।


আঁধার রাতে জোনাক জ্বলে, আমি জেগে রই
বধুয়া আমায় করেছে পাগল
তাইতে রাধার সঙ্গ লই।
ওরে ও, মেঘ বালিকা, যাসনে ছুটে আয়
বধুয়া আমার মন হরিলো,
দেখবি ছুটে আয়।


_____ঐ গ্রামের ঐ শ্যমলা মেয়েরে
ঐ গ্রামের ঐ শ্যমলা মেয়ে,
ডাগর কালো চোখ, চোখে তার মায়ার আঁচল
যেন শরষে ক্ষেত।
পা‍য়ে মল ঘুঙ্গুর বাজে, যায়রে বেলা
এপাড়া ওপাড়া করে,
ঐ গ্রামের ঐ শ্যমলা মেয়ে।


পাখির বাসায় ছানা, ডিম, হইহুল্লুরে স্বপ্ন রুঙ্গিন
পেয়ারা চুড়ি আঁচল ভরে
ঐ গ্রামের ঐ শ্যমলা মেয়ে।


____ওরে আমার মন কালিয়া রে
ওরে আমার মন কালিয়া রে, তোরে ছাড়া জীবণ আমার
রাতের আন্ধার লাগেরে।


তোর রুপে পাগল হইয়া, দেশ বিদেশ ঘুরে মরি
তবু তোর দেখা না পাই।
তোর চোখের মায়ায় মরি, কত খানে যে খুঁজে মরি
তবু তোর দেখা না পাই ।
গাঙের জলের উথাল পাথাল, যৌবন উতল ঢেউ
কোন সওদাগর করল হরন জীবণ যৌবন তোরই।


ওরে আমার মন কালিয়া রে, তোরে ছাড়া জীবণ আমার
রাতের আন্ধার লাগেরে।


____ওরে আমার সোনা বন্ধুরে
ওরে আমার সোনা বন্ধুরে,
দে, দে, তোর ভালবাসা দে।


দিন ফুরালো রাত ফুরালো,
মাসের পর বছর গেল।
তবু না দেখা পাই সোনা বন্ধুরে।
চাঁদ ডুবে যায় আঁধার নামে,
জোনাক পুড়ে আলো জ্বেলে।
বন্ধু যে তোর পথ চেয়ে রই।
আষাঢ় শ্রাবণ বৃষ্টি জলে
ভিজি তুমি আসবে বলে।
তবু বন্ধুর দেখা যে না পাই।


ওরে আমার সোনা বন্ধুরে,
দে, দে, তোর ভালবাসা দে।


____সখি সনে বধু আমার
সখি সনে বধু আমার,
নদীর ঘাটে যায়, মনে বাজে বাঁশের বাঁসি
যেন শ্যাম হয়ে যাই।


পথের ধারে কদম গাছ,
বাতাসের দোলায় দুলে, এই বুঝি বধু আমার
আসবে নদীর ঘাটে।
উথাল পাথাল গাঙের ঢেউ,
প্রেমের সুরে বাজে, সেই সুরে তে বধু আমার
গা' মাজ্জন করে।


সখি সনে বধু আমার,
নদীর ঘাটে যায়, মনে বাজে বাঁশের বাঁসি
যেন শ্যাম হয়ে যাই।


____কি রূপ দিখিলাম আমি,
কি রূপ দিখিলাম আমি,
জলের ঘাটে যাইয়া।
ডাগর চোখের মিষ্টি হাসি
মেঘ কালো চুল যে তার
আঁড় চোখের মিষ্টি চাওয়া, হূদয় করে আকুল,
কি রূপ দেখিলাম আমি,
জলের ঘাটে যাইয়া।
জলের ঢেউয়ে কলস ভাসে,
ছল্যাত ছল্যাত হাসি।
উতল ঢেউয়ে যৌবন জ্বালা, যেন শ্রাবন মেঘে জল
কি রূপ দিখিলাম আমি,
জলের ঘাটে যাইয়া।


_____কবিতা হয়ে উঠার গল্প
১)
কমল কণ্ঠ মন তোমার
আবেগ ভরা চোখ
চেয়ে থাকতে ভাল লাগে
দেখতে তোমার মুখ।
২)
পথ চলার সাথি তুমি, তুমি স্বপ্ন
তুমি সাধনা; আষাঢ় শ্রাবনের ধারা তুমি
চাতকের আশা তুমি বৈশাখে।
আশা তুমি অগ্রায়ণের; শরতে সার্থক তুমি
শীতের মিষ্টি রোদ তুমি।
হেমন্তে হাসি মুখ; ফুটিও তুমি
বসন্তে কৃঞ্চচুড়ার লালে রাঙ্গা ।
৩)
ও গোলাপ!
স্নিগ্ধ যৌবণ আকুল করে অধর
ফুটেছো শাখে;তোমার রাঙ্গা দলে
হাসিতে যেন মুক্তা ঝরে;
যৌবন তোমার দুলে দক্ষিণা বাতাসে।
শীতল হবে জানি কারো বুক,
তোমার ভালবাসার পরশে।
প্রজাপতি চুমে অঙ্গে তোমার
শিহরিত অঙ্গ খানি চুপসে; বলছো কানে কানে
তুমি ভালবাসবে কি? রাঙ্গিয়ে দাও আজ
তোমার ডানার রঙ এ দোলাও স্বপ্নের দোলায়।
৪)
ফুল যদি হতেম, ফুটতাম সবার আগে,
সবার মনে দিতাম দোলা;
রঙ বেরং এর সাজে ।
সবাই করতো আদর, দেখতো নয়ন মেলে,
মনের খুশিতে গাইতো গান;
ঘ্রাণ লইতো লাজে ।
সূর্য়মুখী হতেম যদি, চেয়ে থাকতো সবাই,
প্রজাপতির সাত রংএ!
সাজতাম যে সেথায়।
রজনী গণ্ধ্যা হতেম যদি, বিলিয়ে দিতাম সুবাস
ঝরে পরতাম বুকল হয়ে !
মালা গাঁথতো যে সবে।
৫)
কালের কোষাঘাতে বুক ভরা ব্যাথা,
হাজার বাঁধার বাঁধ ভেঙ্গে কেটে যায় দিন
জীবণ ঋতুতে রযে গেল শুধু শ্রাবনের রিম ঝিম।
কেটে গেল কত সকাল সন্ধ্যা অপেক্ষা পথ পানে
পথিক পবন! বলা হল না শুধু জীবনের শেষ কথা।
৬)
তুই যে বিরহের আখড়া!
তুই যে আবার বেহেস্ত সাজ্জাতের,
হায়রে ঢাকা।
তুই যে কঠিন, তুই যে কমল, তুই যে আশা, তুই যে নিরাশা;
তুই যে আশা নিরাশার, নিভু নিভু
প্রদ্বিপ শিখা ।
তুই যে বড় সুন্দর,
সুন্দর তোর রাজ পথের হাসি কান্নার খেলা,
হায়রে ঢাকা।
৭)
জীবণ যখন শুরু হল,
শুণ্য ছিল সকল পাতা, ফিরে দেখি
পূর্ণ আমার লেখার খাতা।
শ্যাম সুন্দর দেশে; হূদয় ভরা
কুড়িয়েছি পূর্ণ মধুর সরবর।
জীবণ যখন শুরু হল,
হূদয় মরুভুমি, ভিরতো না নাও মোর
জীবনের তীর অবধি।
হূদয় জুড়ে সুর ছুঁয়েছে, আঁধার পথের হূদয়
আলোর পথে পথ চিনেছে; তাই তো এবার
পথে নামার, যে পথ গেছে দিগন্ত পাড়ে।
দু'হাত ভরে এনেছি তার ধুলি;
৮)
সুন্দর রয়েছে শুধু হাসি,কথার আর ইশার চাহনীতে
ঠোঁট এর কথা চেটেপুটে খায়, ওষ্ঠতাকে
ভালোবাসি ভারি।
যৌবণ শাসায় কেন? অসয্য সুন্দর অস্ত্র শান দেয়া,
কথা তরবারী? ভয়ে কাঁপা,মুখে ভাসা ফুটেনা
সরে আসে পিছে, আঘাত কথার, ওষ্ঠ খান খান হয়
নুয়ে পরে শেষে মানুষের অহঙ্কারের কাছে।
৯)
বাংলার দিকে তাকাই যখন
মনে হয়, দেখছে সবাই।
যখন কবিতা দিকে চোখ ফেরাই
মনে হয়, চোখেও চোখ রেখেছে কবিতা।


রাস্তায় দেখা যায় অজস্র মানুষ হাটছে
যখন তাকাই সেই দিকে,
বুঝতে পারি, অজ্র উৎসক দৃষ্টি এই দিকেই তাকিয়ে।
বাংলার মধ্যে মানুষের
মানুষের বুকে কবিতা, আর কবিতার মগজে
ভালবাসার দর্শন; এর থেকে মুক্তি নাই আজ
১০)
তুমি এলে যখন,
এলো গ্রীষ্মের তীক্ষ্ণ রোদে,ধু ধু বারি বিহীন কান্না।
তুমি এলে যখন,
এলো বর্ষার রিঝিম বৃষ্টি, ঝরলো শ্রাবন ধারা।
তুমি এলে যখন,
এলো শরতের সাথর্ক উল্লাস,সবুজের সমারহে নীলাভ আকাশ।
তুমি এলে যখন,
এলো হেমন্ত আশার প্রদ্বীপ, শুরু আনান্দের পসরা ।
তুমি এলে যখন,
এলো চির পরিচিত শীত, কন কনে কাঁপনে অজস্র আত্মনাথ।
তুমি এলে যখন,
এলো অফুরন্ত হাসি ভরা বসন্ত, কোকিলের কু-হু-ডাকে ফুটিল ফুল।
তুমি যখন এলে যখন।
১১)
সুখ সে তো যাযাবর,
বাঁধতে জানে না ঘড়
তবু কেন তাকে পেতে
ব্যকুল এই অন্তর।
১২)
আমি ওপারে যাচ্ছি,
প্রেম কে সুধাই? একটু অপেক্ষা করবে?
এত সুন্দর নীলকাশ, এমন আলো  ছায়ার খেলা
তোর কি ভাল লাগে না?
আমার কিন্তূ খুব ভাল লাগছে; কত সুখ? কত দুঃখ?
সব তোর জানা, তবু বলবে না কিছু?
শুধু ইশারায় ডাকা ডাকি,
যাবো কোথায়? কোথায় পাবি এত সুন্দর
পল্লবিত, আলোকময় প্রকৃতি!
যাস না ছেরে আর একটু পা‍শে বস
দু'জন মিলে ফিরে যাব আর মায়ায় বাঁধবো ঘড়;
ফোটাবে প্রেম, ভালবাসার।


১৪২৪/৪,কার্তিক/হেমন্তকাল।