প্রেম রতনে পথিক মজে


পথিকের নাকি?
পথ চাওয়াতেই আনন্দ
তাইতে হাওয়া চুপি চুপি ছুঁয়ে
আকাশ চালে মেঘ বালিকা খিলখিলিয়ে হাসে
মেঘ চাতালে মেঘ বালিকা
পথগুনে শুন্যে ভেসে চলে
কোথায় তার পথিক সজ্জন?
উঁকি দিয়ে দ্যাখে
পথের পর পথ পেরুলো
সবুজ মাঠ পারি দিল
নদী বন্দর; পাহার পর্বত
দিগন্তে ঐ রইল ছুঁয়ে।


এবার পথিক স্বজন হারা
মাঝ পথে যে পথ হারা
হাই তুলে যে নিঃশ্বাস নিল
সবুজ নীলে বুক ভরে
তাতেই তার স্বজন হারা ব্যথা সব
হারিয়ে গেল পিছন পথে।


পথিক তোমার প্রেমিক নাকি?
ধুলোর গায়ে বিরহী পদ্য লিখে
পদ্য আঁকে হাতের আঙ্গুল ছুঁয়ে
পদ্য লিখে পদ্য আঁকে
বুকের ক্ষতে রক্ত ঝরে
উদাস আকাশ চেয়ে চেয়ে
পথিক তোমার স্বপ্ন বুনে
রক্ত ঝরে স্বপ্ন বুনে
আসবে পথিক এই পথেই
পথ ভুলে মনের টানে।


পৌষ গেল। মাঘের পরে, চন্দ্রাবতীর মেলা বসে, উত্তরের ক্ষেপ বাড়লে তরে। পথিক এবার গঞ্জের হাটে। বাউল মেলা হাটের কোনে রাতভর একতারার টুংটাং। সুরের মায়ায় আদি অন্ত পথিক দেহের আগল খুলে। কোথায় তার প্রেমিক ধন? মনটা যে তার চিতায় পুড়ে। পোড়া মনে সই যে তার পথ চেয়ে চেয়ে আকুল পারা।


শীতের মোরা গাছের পাতা
শিশির ঝরা কথা কয়; কোথায় তার প্রেম রতন?
খুঁজতে তারে পথে রয়।
মানব রতন সই যে তার
বেলা শেষের গান যে গায়; সেথায় তার প্রেম রতন
রঙ্গো রসে ঘুরে বেড়ায়।
প্রেম রতনে পথিক মজে
সখি যে তার বিরহে পুড়ে
মানব রতন খুঁজতে যে তার
কালে কালে সন্ধ্যা নামে।


১৪২৪/৩ মাঘ/শীতকাল।