---আঁজলা ভরে কুড়ানো প্রেম


আঁজলা ভরে কুড়ানো প্রেম ছিল একদিন আঁচলে তোমার
রেখে ছিলে যতনে! লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে তারে; আপনা করে
হৃদয় দরদ লাগিয়ে; সদা চোখে চোখে প্রদীপ জ্বালানের মতো
নিত্য আবাগে মায়ার টানে টানে!


বাতির সলতে নিভতে দাওনি কখনও
জানলা ঠেলে হুহু বাতাস এলেও; আঁচল টেনে ধরেছ হাওয়ার অনুকূল
সে দিনের নিভু নিভু প্রদীপের সলতের মতো একটুকরো প্রেম রয়ে গেল আজ
না না পথে চলে ও ফেলে দাও নি কখনও ভুলে; তন্দ্রা এলেও রেখেছ চেপে
পুরানা ডাইরীর পাতায় হলুদ শুকনা পাঁপড়ির মতো
ছুঁয়ে আছে প্রচ্ছন্ন প্রেম এখনও স্রোতের টানে সমুদ্রে ডুবে যায়নি বলে
নলক পড়া কবিতার বঁধুয়া সাজে
যাপিত কাল সাজে আজও না না বদলে; সে তো প্রজাপতির প্রতিবিম্ব
নিত্য নতুন রূপে অবগাহন প্রত্যহ!


===মেঘের চাতালে তুলে


রেখে দিতে পার ওটা, মেঘের চাতালে তুলে। মেঘ যখন সারা পৃথিবী ঘুরে ঘুরে, ক্লান্ত হয়ে আসবে ঠিক তোমার মাথার উপর ঘরের চালটায়; ঘুঙ্গুর বাজিয়ে ঝরিয়ে বারি, মেঘমল্লার গানে গানে নিবির মদিরতায় অতীত গুলে, বৃষ্টির জলে যেন মাছ শিকারে মত্ত তোমার সবটুকু চাওয়া। মেঘের চাতালে রেখে ছিলে যতটুকু তার দেয়নি মেঘ সব টুকু; তার চাতালে রেখেছে খানিক আবার যদি পাছে চাও তার কাছে! তাই তো সবটুকু ফুরাবার আগেই পালিয়ে গেল মুচকি হেসে হেসে।


১৪২৫/ কার্তিক/হেমন্তকাল।