----পরম দুখিনী মা


মার জীবনভর কেটেছে পরম দুখে
পরম দুখ এই জন্য যে, আঁচলে মুখে ঢেকে কান্না করতেন
জানি না বাবা কখনও টের পেয়ে ছিলেন কি না!


জানি না, কত রাত না খেয়ে রাতের পর রাত জেগেছ?
বড় সংসারের টানাপড়েন তো ছিলই
মাকে অভিযোগ করতে শুনিনি; দিনভর এ কাজ সে কাজ
হেঁসেল উনুন, ঘর উঠান সামলে
অবেলায় দুপুর গড়িয়ে সাঁঝের আগে পুকুরে গোসল
কোন কোন দিন পুকুর ঘাটে সাঁঝ ঘনিয়েছে!


ইতিমধ্যে বাবার হাতে হাটের সোদাইপাতি,ইলিশ মাছ
পুকুর ঘাট থেকে আসতে আসতেই হেঁসেল পাড়ে
মাছ কুটবার ধুম; ছেলে মেয়েরা সবাই হেঁসেল পাড়ে
আজ ইলিশ ভাজার বাসনা ছুটবে!
সবার চোখ মুখ মৌ মৌ সুখে চক চক করছে
এদিকে মার মুখে সব যাতনা ক্লান্তি মুছে গেছে!
ছেলে মেয়েদের এমন উল্লাসে।


এই ভাবেই বেশ চলছিল, মার ভরা সংসার
সবে যৌবনে পা রাখা বড় সন্তান; বাড়ি থেকে উধাও
সারা দেশ জুড়ে খুঁজে ও তার হদিস পাওয়া গেল না
এখানে সেখানে ফকির ফিকির করেও খোঁজ পাওয়া গেল না
আঁচল চেপে কাঁদা শুরু আমার মার
পথ চেয়ে বসে থাকা; প্রথম সন্তান বলে মা আমার
পুড়ে পুড়ে অঙ্গার হতে থাকে,,  


১৪২৫/ পৌষ/ শীত কাল।