সময়ের মেঘ ঠেলে অভিমান ক্ষয়ে যায়,
গলে যাওয়া বরফের মত, চুঁইয়ে চুঁইয়ে নিঃশেষ হতে থাকে
থরে থরে সাজানো অভিমানের স্তুপ, যেখানে গজিয়েছে ইচ্ছে বীজ
খুব স্বাধীন সে নিজের মত একার।


কারো ধার ধারে না আমিত্ব বাঁচা,
নিজেই নিজের ভ্রমে রোমাঞ্চিত, বুকের মধ্যখানে যখন বিষম জমে
কঙ্কাল চেপে উথলে উঠা কষ্ট, চোখ মুদে বড় করে বার বার দীর্ঘশ্বাস
পোষা অভিমানের বিড়ম্বনা।


অভিমানের গা বেয়ে ক্ষতের রক্ত ঝরে,
নিশিরাতে শিশির ঝরার মত, আচমকা জ্যোত্স্না আলোয় মুক্তোদানা
যেমনটা সাহারায় মরীচিকা,তেমনি বয়ে যায় জীবন ভর অভিমান ব্রত
তবু অভিমান জীবনের রসদও বটে।


১৪২০@০৫ অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল।