প্রথমার শেষ পর্ব


আমলকি বনে,
ঝরা পাতার মর্ম গান ভাসে
শিউলি তলায়,
শিশির মাখা ঝরা শিউলি কুড়াও আঁচল ভরে
ঝুল বারান্দায় বসে,
শিউলি ফুলে মালা গাঁথা খোঁপায় পরবে বলে
মনে যে ছিল বাসনা,
দিবে পেলে সমুখে চোখ তুলে তাকাবার সাহস হয়নি
মুচকি হাসিতে ছিল রহস্য,
কিছু চাইবার বলিবার কত কথা আঁড় চোখে অভিমান
যদি দেখা পাই,
কত কথা হবে সেই সুখ ভাসে স্বপ্ন গহীনে
যদি দেখা হয়,
মুখোমুখি দুজন থর থর শরীর কাঁপিয়ে বলা হয়না কিছু
তবু বুকের খাঁচায়,
কি জানি এক যন্ত্রণার সুখ বহিবার প্রেমালাপে
জুটিল না সাহস,
সময় উল্টোরথে সাক্ষ্যদানে প্রেমের ইতিহাস যবনিকা পাত।


শরীর মনে বসন্ত আবির মেখেছে যৌবন
আকাশ বাতাসে একি সুখ,
স্বপ্নভরা আকাশ তারা উদল বাতাস
মৌনতা ভেঙ্গেছে দুর্নিবার চঞ্চলতা,
যৌবন কাহনে আকাশ বাতাস জুটেছে
কবিতার খাতার পাতায় পাতায় প্রহেলিকা।


প্রেমপত্র শুকে চির চেনা গন্ধ যেন তার
শুকনা ফুলের পাঁপড়ি প্রজাপতির ডানায়,
বেশ চেনা মন ভিজে যেন রসগোল্লার শিরায়
সেই যে বিঁধে গেল চাহনির অমোঘ তীর বুকে,
মায়ার আদরে বশি ভুত মায়াহরিণের
একনজর দেখবার জন্য আকুলিবিকুলি।


চন্দনের সুবর্ণ গন্ধ ছুটেছে যেন
আমলকির ডালে ডালে সবুজ কচিপাতা,
ঝিরঝিরে বাতাসে মিহি নাচন তুলে
তিলাঘুঘু যুগলেরা খুনসুটির ঝরে পরা পালক,
লেগে রয় লাউ ফুলের সাদা দলে
রাত এলেই উচ্ছ্বলতা মুচড়ে পরে ডুবসাঁতারে স্বপ্ন ঘোর।


বিরহী রমনে রাধা রমন নৃত্য
মৌনতায় আঁধার নেমে এল কালমেঘ অম্বরে,
উদল আকাশ জুড়ে উলম্ব মেঘ
ছেঁড়া মেঘে পালিয়ে বেড়ায়,
রঙ্গম রাধার বিরহে মেঘবালিকা শ্যামের শরীর জুড়ে
মৌনতা ঘোরে শ্রাবণ জলে একটু হাত ছুঁয়ে দেখা।


না পাওয়ার অভিমানে পুড়ে গেল সব
কে কোথায় কালের অম্বরে? জানা নেই কোন খোঁজ তার
ফিরবে না জেনে না পাওয়াই থাক! সময়ের ছায়া ফিলেছে বেশ লম্বা
সেই ছায়ায় এঁকেছে স্মৃতির কুন তলে, অভিমান মিশেলে প্রেম বঞ্চনা
থাক না, না পাওয়াই থাক সব বিস্ময়।


1420@ 26 অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল।