রুটিতে মাখানো জেলী


জোছনা স্নানের প্রহর গোধূলিলগ্নে,
ধুলার আবিরে নামে বিষণ্নতা; ধুলামাখা দূর্বাঘাসে,
বিশীর্ণ সন্ধ্যা নামে।
সুখ আছে, ঐ সন্ধ্যালগ্নে বাড়ী ফেরার!
ঐ বিশীর্ণ সন্ধ্যায় শিশিরের কষ্ট জমে।


ঐ গোধূলিলগ্নে,
গরুর গাড়ির চাকা ঘুরে করুন সুরে গান ধরে
ঐ ধুলো মাখা দূর্বাঘাসে; জোছনা স্নানের প্রহর
অতঃপর: দুর হতে কাকের ককর্ষ ডাক ভেসে আসে
আত্ম নাথের মত বিঁধে বুকে।


বস্ত্রহীন শিশুর কান্নায়; ঘুম ভাঙ্গে কাকের
আশ্রয়হীন কিশোরের ঘুম ভাঙ্গে
শিশিরে ভেজা ছেঁড়া চটের বস্তায়।
ঐ শিশুর কান্নায় জীবন মুচকি হাসে
ঐ কিশোরের ছেঁড়া কাঁথায় স্বপ্ন কাঁদে
ঐ শিশুর বস্ত্রহীন জীবন বাড়ে
ঐ কিশোরের আশ্রয়হীন আঁচলে বয়স বাড়ে


এবং আমরা চারদেয়ালে জরো-সরো থাকি;
আর জীবন কাটাই চা’ এর সাথে; রুটিতে মাখানো জেলী।


১৪২১@ ১৯ ভাদ্র, শরৎকাল।