এমনি নগর যাতনায় নেতিয়ে পরি নিত্য


নগর ভরনে গরনে,
বাজে কিরি কিরি চিরি চিরি
নগর শরীরে চৈত্র তাপের দহনে,
পুড়ে অাঙ্গার ঘর্মদাহ!
জলের বিলাপ ঘুঙ্গুর বাজায়
নগর পৈত্রিক; নোনা ধরা ইট সুরকি খাঁজে খাঁজে।


চেতনার খরায় চির ধরে,
চৈত্রের ঘন দহন সাজে
সাঁঝ নামে; ঘমাক্ত, ক্লান্ত প্যাচ প্যাচে ধুলার শরীরে
ফুটপাতের আঙিনায় যখন মেলে ধরে
চৈত্র রাতের জোছনা ছায়া।
এ কি মোহ মায়া?
এ কোন আবেশি আলখেল্লা? ছড়িয়ে পরে দক্ষিন বায়!
মায়ার কুন্ডলি মেখে নগর যাতনা সহজে ভুলায়।


এমনি নগর যাতনায় নেতিয়ে পরি নিত্য
জীবন যাচে মুক্তি কথা;
ক্ষুধার অম্লবদনে তাও ম্রিয়মান
আঁকিতে ছল ছল জল ভাজে,
কাঠবিড়ালির উচ্ছ্বলতায় স্বপ্ন জেগে উঠে।


চৈত্র রাতের আকাশ জুড়ে
ফালি ফালি মেঘ, দূরে সরে সরে যায়
দিগন্তের আঁধারে মিলায়; মেঘের ছুটে চলা জোছনা ছায়া
নগর ইমারতের গায়ে বিলি কেটে যায়।


==১৪২২/২৭,চৈত্র/বসন্তকাল।