বোশেখের আড়ম্বর রসে ভরা পিপাসার সুখ


বোশেখের খরা। তপ্ত দিন বলে, তৃঞ্চার হুটোপুটি। বাতাসে মাতাল মেঘে, ছড়িয়ে যায় পিপাসার পয়গাম। ঐ যে, সবুজ গেরাম ছিল। তা এখন রোদে পোড়া রুক্ষ। বাঁশঝাঁড় এ পাতা শুকনা করকরে। পথের ধারে নাঙা সোনালু গাছটায় বেশ ফুলের বাহার। লম্বা লম্বা ফল(বাঁদর লাঠি) ঝুলে আছে, যেন রৌদ্রজ্জ্বল বাহারি বোশেখ। বাবলার ডালে, ঝির ঝিরে পাতার ছায়ায় বসে তিলা ঘুঘু। রোদের ছায়ায় দোল খায়। উঠানে পুঁই মাচা। পুঁই গাছ মরে গেছে। মরে যাওয়া তুলসী গাছটা যেন শুকনা স্ট্যাচু। লাউ মাচা। লাতানো লাউ ডগায় যতসামান্য সবুজ রং। পাতা গুলো মরে কুঁকড়ানো। ধুলার গাদায় চড়ুই গুলোর বালুয়ারী খেলা। বৃষ্টিতে ভেজার মতো করে খেলে। চাতকীর গানে, ঝিঁঝিঁর মাদল বাজানো বোশেখের দুপর। ধুঁ ধুঁ রৌদ্র হাওয়ায় ভেসে আসে গেরামের ঝোপ ঝার হতে ঘুঘুর ডাক। সজনে গাছে, লম্বা লম্বা সজনে ঝুলে,বাতাসে দোল খায়। গরম জলে পুকুরে, দাপাদাপি গেরামের দুষ্ট পোলাপানরা। কাঁচা মিঠা আম, লবন ঝালের গুরা রৌদ্র ভেজা রসে জিহবার স্বাদ। কচি তাল কেটে তালসাচ রসে মুখ ভরে। তরমুজ বাঙ্গির মনহর হাট বাজার। গাছে ঝুলে কাঁঠাল। আনারসে টইটুম্বর। বোশেখের আড়ম্বর রসে ভরা পিপাসার সুখ।


১৪২৩/১৫, বৈশাখ/গ্রীষ্মকাল।