সুবোধ শহুরে ঝকঝকে এই পার্কে


পার্কের বেঞ্চে বসা বয়ঙ্ক লোকটা,
হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে উঠেছে বলে একটু জিরয়
বয়সের ভাঁজে চির ধরেছে;
শিরদাঁড়া আগের মতো খাড়া পাহারে উঠার সায় দেয় না
তয় প্রত্যহ হাঁটতে হবে,
না হাঁটলে রক্তে চিনি বাড়বে, হয়তো
অন্য একটা অসুখের দিকে মোর নিবে এমনিতেই
ঔষধ খেতে খেতে বিতশ্রদ্ধ
না খেলেও উপায় নেই।


বাঁচতে হবে তো,
কার জন্য বাঁচবে? মরে গেলেই সব চুকে যায়
কিন্তু মরতে পারে না, উপর ওলার হুকুম ছাড়া  
কেমনে হবে এমন কাজ?


বেঞ্চের উল্টা দিকে ঘাসে দুটো শালিক; সবে যৌবনে
ঠোঁট, ভ্রুরু, চকচকে তর তাজা, পালক গুলো চিক চিক করে
কি যে বাহারি তেজ! দুরন্ত যৌবনের কথা মনে পরে
মনে পরে দুরন্তপনায় মা বাপের বকুনি;


তার বদলে ছেলেটাকে!
বকুনি দেয়ার সময় হলো না,জীবনের স্বচ্ছলতার তাগিদে
কখন যে আত্মকেন্দ্রিক শহুরে হয়ে উঠেছে! গাড়ী বাড়ি
টাকা পয়সার অভাব নেই এখন, অভাব শুধু
মায়ার টানে চির ধরেছে; ওতো আগেই মরে গেল
ছেলেটা তাও বিদেশে, আর ফিরবে বলে
মনে হয় না, মরার সংবাদে হয়তো আসবে ছুটে
কফিন ছুঁয়ে হয়তো কাঁদবে,,


আনমনা লোকটি প্রজাপ্রতির উড়া উড়ি দেখে
হেমন্তের কুয়াশায় একটু স্বস্থি খুঁজে;
সুবোধ শহুরে ঝকঝকে এই পার্কে।


১৪২৩/০৭, অগ্রহায়ণ/হেমন্তকাল।