=====নীল চাতালে ছামিয়ানা ঐ


আকাশের নীল চাতালে
     ছামিয়ানা ঐ
মহাশূণ‌্যের ধুঁয়ার আঁধারে
     ভাসান নৈশব্দ ঐ
পথের দিশা হারিয়েছে
     শঙ্খচিল ঐ
উড়বার স্বাদ যঞ্জে
     মৌনতায় ডুবে ঐ
নৈশব্দের ভাসান চিলেকোঠায়
    নিঃস্তবতায় ডুবে ঐ


পরন্ত বেলা


পরন্ত বেলায় দিগন্ত হাসে ঐ, আলোর ছোঁয়ায়
আলো সে তো উৎফুল্ল্য স্বপ্ন ঐ, বেদনা ভুলায়
পথিক যেতে যেতে পথের দিশা মাপে ঐ, দিগন্ত ছুঁয়ে
পথের তালে তালে সরে যায় সেও ঐ, পথ ছাড়বে না বলে
তবুও পাখিরা উড়াল সারির চিত্র আঁকে ঐ, বর্ণিল সাঁঝে
তবুও পথিক বাড়ি ফেরার তীব্র বাসনা ঐ, সাঁঝের নন্দন তিশায়


পথের ধুলো


পথের ধুলো উড়ে ঐ এলোমেলো হাওয়ায়। কোথাও শুষ্ক। কোথায় আবার জলে ভেজা। নন্দন খরা। আবার বরফ ঢাকা সিক্ততা। পথের ধুলোয় পায়ের ছাপ আঁকে। আবার বরফ ঢাকা আচ্ছদনায়ও তাই। ষ্পষ্ট ছাপ। প্রাণী গুলো। আবার যুগোলের বটে। আবার সাধারণ পথচারিদেও। ধুলোর ধূসর গায়ে মাখা ঐ সবুজ দূর্বাঘাস।


অপেক্ষা প্রত্যাশা


             মেঘ ধিয়ানে ঐ চাতক চাতকি,
নন্দন ফুল ঝুড়ির প্রত্যশা; কেটে যায় দিনমান।
              মাছ ধিয়ানে ঐ মাছরাঙা,
ক্ষুধার জন্য অসার অপেক্ষা; ক্ষণে ক্ষণে স্বপ্ন খোঁজা।
                     ফসল ধিয়ানে কৃষক,
বীজ বোনায় অঙ্করোদগম ভাবনা; উঠানে তার সোনালী স্বপ্ন।
               প্রেম ধিয়ানে যুগোল প্রেমিক,
আড়ম্বর ভাবনায় জীবন রচে; আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন বানে।


         যুগোল প্রেমের নির্মল মাতামাতি


ফিরেছে বাতাস,
মেঘেদের দামাল ছুটোছুটি,
কোথায় ওরা থামবে আজ?
জানা নেই তো কোন ঠিকানা
মেঘ বিলাসী পথিক দ্যাখে,
ঐ যে আলো মাখা মেঘের ঘরবাড়ি
সেথায় যদি ঠাঁই দিত মোরে
ঐ যে স্বপ্ন গগন পাড়ে।


মেঘ বালিকার ঐ উঠান জুড়ে,
খুনসুঁটি আর আহ্লাদের ছুটোছুটি।
দাপাদাপি মেঘ হতে ঐ মেঘে; যেন রাজহংসীর
যুগোল প্রেমের নির্মল মাতামাতি।


মিলিয়ে গেল দিন।


মিলিয়ে গেল দিন। ফিরে এল রাত। আঁধারের পারাবত। কোথাও যেন জীবন নাই। কোলাহল নেই। স্তবতায় আবৃত। শুধু রাতচরা প্রাণীকুলের প্রত্যাবর্তন। যেন অনাহারী আকাশ। তার নক্ষত্র কুঞ্জ। জ্বলে জোনাকির স্থিততায়। কোন তারা ঝরে গেল? নতুন কোন বিভাবরি? অভিমানে চেয়ে থাকে পঞ্চমির চাঁদ। যদিও ফিরেছে জোছনা পেলব! জোনাকিরা ক্ষনিকের তরে মুর্ছা যায়। লুকিয়ে পরে ঝোপ ঝাড়ে। আকন্দের বেগুনী ফুল জোছনা হাওয়ায় ধীরে লয়ে দোল খায়।


         শন শন পাখার ভুতুরে আওয়াজ!


পোকা মাকড় ডাকা আঁধার রাত,
কে কোথায় নিশুতি রাতের কোলে?
লক্ষি পেঁচা সজনে ডাল ছেড়ে
নেমেছে ডোবার ধারে।
সাপ বিছা পরেছে চোখে তার;
ছু' মেরে তুলে নেয় তীক্ষ্ণ নখে থাবায়
শন শন পাখার ভুতুরে আওয়াজ!
যেন নাঙা রাতের কঙ্কাল হাঁটে পথে।
কলার মোচায়,
বাদুর দলের উড়া উড়ি যেন ভূতপ্রেত্ম
কথা স্বরে চেঁচামেচি।
বাঁশ ঝাড়ে আধো আলোয়
যেন ছায়ার হাটাহাঁটি;
হাওয়ায় নুয়ে পরে বাঁশের কঞ্চির ডগা।


নন্দন আঁধার


গভির রাত নন্দন আঁধার
সেই নন্দনে লুট হয়ে যায়, ক্ষুধার অপৃশ্য দেহ
শরীর শরীরের বিতকাম অশ্রাব্য নেশা
নক্ষত্র কুঞ্জ হতে কসে পরে; শঙ্খচিলে উড়ন্ত পালক
উলঙ্গ রাতের বিবস সীঁৎকার।


ইথারে ভেসে আসে


ইথারে ভেসে আসে
কথা কারিগর
চঞ্চল; আত্মহননে
বরাদ্দ ছিল
যত সামান্য ক্ষণ
তাও আবার যাচ্ছে ক্ষয়ে
অনন্য শূণ্যগারে।
মিছে ঐ পথ
সত্য ছিল না কখনো
ভ্রান্ত; বক্র রেখা
বিদ্রুপ রেখায় সমাপ্য।


            মেরাথন যাত্রা ঐ


অযাচিত মেরাথন যাত্রা ঐ
           যাত্রা পথে মাল শামানা ক্ষীন অতি
দেখভালের নেই কোন সাথি।


           শুধু যেতে হবে তাই, অনিবার্য
ঐ খানেই জমে আছে কত কথা
           শূণ্য মহাশূণ্যে ধায় যথা তথা।


১৪২৩/১১, মাঘ/শীতকাল।