ইচ্ছে ঘুড়ি উড়ছে ঐ


ইচ্ছে ঘুড়ি উড়ছে ঐ
সুতায় লাগাম এঁটে, হাওয়ার অমোঘ টানে
খেলছে ওরা দু'জন, ঘুড়ি হাওয়ায় মেতে।


সোনাতন সে তো
হাওয়ার মাতা মাতি, যে উড়াবে তারই গায়ে
হাজার রং এ পিং পঙ, শূন্যে আঁকা জলছবি।


শূন্যে দ্যাখো চেয়ে
না না ঘুড়ি উড়ে, বেলা শেষে সন্ধ্যা মায়া
লালিমা আঁকে কত বৃত্ত? সরল আঁকা বাঁকা কৌনিক কত?
====


মন পবনের দ্রোহ


কেটে গেল ঘুড়ি। মন খারাপের কৈশর। তন্দ্রা ঘুম। স্বপ্ন ফাঁদে, লাল নীল ঘুড়ি উড়ে। গভীর রাত। একনো হইনি ভোর। রাত যে কেন এত বড়? কিশোর, মন পবনের দ্রোহ।


রাত পোহালেই, দির্ঘনিঃশ্বাস টেনে, উদম এদিক ওদিক চাওয়া। এই ভাবে ঘরে ডুবে থাকা যায়। কত নন্দন প্রহর যায় পালিয়ে। আলো পাহারায় তারে যে ধরতে হবে!
====


বৃত্তরীতি


নাঙা পায়ের ছাপ ফেলা ধুলো
স্বাক্ষী করে রাখে পথিকের; অদম্য চলার প্রত্যয়
এঁকে বেঁকে নক্ষত্র বলয় বিভেদ।


এ বিভেদে ক্রান্তিকাল আঁকা
মুছে যায় সব চিহ্ন একাকার; যতই প্রত্যয় অটুট
সে তো কালের জন্য ধরা।


এই কালই কালের প্রীতি
গুহার গায়ে চিহ্ন হয়েই স্মৃতি; পৌরনিক না মাঙ্গোলিক
সে তো বৃত্তরীতি।
=====


পথের বাঁক


পথের বাঁক। আর বাঁক পেরুলেই নতুন পথের শুরু। নতুন পথে মন পবনের নিত্য চলাচল। তারই পিছে পিছে, নতুন পথে হাঁটি। ধরা সে তো মস্ত খরা। যায় সরে সরে দূরে।


দূরে সে তো মেঘ মোল্লার। সীমানা পেরুবার প্রয়াস। রই পরে সেই পথের বাঁকেই। নতুন মোহনার পাড়। অচেনাকে চেনে নিতে, বাঁধতে পথের তাল।
=====


বৃত্তে বাঁধে দ্বীপ


চিল উড়ে ঐ আকাশ মাথায়
পাখায় বৃত্ত বায়ু।
কত কথা যে তার নদীর জলে,
নিত্য কুড়ায় আয়ু।


গাঙের ঢেউ এ জলে মলাকাত
ফেনিল ফেনায় তীর।
জোয়ার ভাটায় ফিরে জলের যৌবন
বৃত্তে বাঁধে দ্বীপ।
====


একদিন পেন্সিলে আঁকা হল


একদিন পেন্সিলে আঁকা হল,
পৃথিবীর যত দুঃখ জড়া বোধ।


সে এখন চিত্র খরা,
নন্দন মরু সাহারা।
সে তো এখন পুড়ে পুড়ে,
মরিচীকা শরীর বুনে হাসে।
সে তো এখন ভুতুরে অবয়ব,
মস্ত কষ্ট বোধের ফাঁদ পাতে।


সে তো এখন ভুলে গেছে,
সদা হাসির মর্মকথা; পথে পথে অট্ট হাসিতে হাসিতে
কর্দয্য বাসনায় পুড়িতে পুড়িতে।
====


দিনের বৃত্ত


দিনের বৃত্ত। শুরুর ঐ, ঐ যে, দাগ হতে। ওখানে সময় কাঁটার দাগ টেনে দেই। শুরুটা এখন বেশ প্রাণাঞ্জল। বাসার কাজে ছেদ! পথের বাহিরে খাঁজ কাটা। দেনা পাওয়া না, লেনদেন সব খানে এঁটে দেই প্রশ্নবোধক।


নাস্তা, আহার, শরীর মার্জনীয় ক্ষতে খৈত্রিরেখায়। পোশাক পরিধানে বেশভূষা চিহ্ন আঁট। ফ্যাসনে যোগ বিয়োগের নগ্নতা ঢাক। অহঙ্কার দমনে মনে পাথর বাঁধ। পরিমিত আহারে অদম্য বাসনা ঝেরে ফেল।
====


বায়ুর চিত্র


বায়ুর চিত্র সাদা কাগজে আঁকা,
পেন্সিলের কার্বন ধ্রুবতায়; মুগ্ধবুনে রং পাল্টিয়েছে খানিক।
তবু কেন মেইয়ে যে গেল?
রং এর গায়ে লাগিয়ে বাতাস; মুগ্ধ নয়নে দেখে গেল।


তারই চিত্র আঁকা ধব ধবে কাগজে,
মানসই রঙ লাগানো বাঁকি এখনো! না আছে হাসি, না কান্না!
শুধু শুধু অনুধাবনে মাখামাখি,
নিঃশ্বাস পড়ছে চুইয়ে চুইয়ে; ঐ ধব ধবে সাদা কাগজে।
=====


আলো যায় ক্ষয়ে


খাঁজ কেটে কেটে আলো যায় ক্ষয়ে
নক্ষত্র বেলা।
আচম্বিতে ঐ দূরে কোন কান্না যেন ভেসে আসে?
হাওয়ার তিমিরে।
মেঘের সাজ দিগন্তে বৃত্তের গোলক ধাঁধা যেন
বর্ণ কহুকে।
যে কষ্টে জেগে উঠে সাঁঝ আঁধার তেপান্তরে ভেসে ভেসে
স্বপ্ন বিহব্বল।
আবার ক্ষয়ে যাওয়ার ব্যাথা বিধুঁর বিষন্ন আলো যায় মুছে
নিত্য পালাবদল।
=====


শূন্যতার মোহবৃত্তে


ঐ ঘুড়ি উড়ে, মাঘের বেলা শেষ। কৃষকের ক্ষেতের আইলে। দুরন্ত কিশোর জটলা। বাতাসের উজানে। লাল নীল। আরো কত রং? আকাশ মাতায় উচ্ছ্বলতায়।


উত্তরের সিক্ত হাওয়া, জটলা বাঁধে ঘুড়ির গায়ে। শঙ্খচিল ঘুড়ির মাথার উপরে, ম্রিয়মান মৌনতায় ঘুড়ে। সাথি হারা বির্বণ সুখ হাতড়ায়। শূন্যতার মোহবৃত্তে।


========
১৪২৩/২৩, মাঘ/শীতকাল।