ভাসায় গন্ধ পুরান সোদা মাটির


জড় জড়িয়েছে জীবন জীবেরে,
জড় বিনে জীবন বাঁচে কেমনে; সভ্যের বিকাশ কালে
জড়ের আকড় চারিধারে।
জীবের ভষণ করিতে ভক্ষণ,
জড় বিনে নাহি চলে কবিতে যাপন; ক্ষুধিত এই কালে
কি বা কর্মফলে।
চাহিতে চাহিতে খুঁজিতে খুঁজিতে,
যায়রে বেলা পথের নিশানা পাতে; এ কোন ধুঁসর বেলা?
ভাটিতে লুটায়ে নিত্য রঙ্গ খেলা।
মৃত্তিকা প্রদীপ জ্বেলে,
এ কোন সোনালী সন্ধ্যা নামে? খোলা মাঠে এ কোন আঁধার নামে?
ভাসায় গন্ধ পুরান সোদা মাটির।
=====


পলির তলানী ঘেঁটে


কাদা জলে ঠায় দাঁড়িয়ে,
ধোলা বক বিলের ধারে।
হাঁটু জলে হেঁটে হেঁটে,
পলির তলানী ঘেঁটে খাবার প্রলয়।


ঝাঁকে ঝাঁক পরিযায়ি পাখি,
উড়েছে, নামছে জলে যেন;
উল্মব স্বপ্নবোনা ধোঁসর মেঘ বালিকার,
উর্নব একচিলতে হাসি।


উঠেছে ফুটে, জলের গায়ে ঢেউ
আলোর ঝিকি মিকি আছড়ে পরে;
জলের উপর জল মিলিয়ে ভাসে
ছিটকে জলের হাপড়,মাঝির নায়ের ছৈ এ।
====


সোনাতন শরীর নুন জলে মেখে


মাটিতে পোঁতা বীজ। জলে ভিজে, বাসুতি সৌরভ বুনে। সোদা মাটির ভোজ। আষ্টে পিষ্টে মৃক্তিকা সঙ্গ। নোনা সৌরভ। গেরুয়া অঙ্গের সাজে আঁটা। মৃক্তিকা ফুঁড়ে সবুজ কুড়ি জীবে।


বর্ণীল শোষনে ক্ষুধার আস্তর গায়ে ঢাকে। চেতনার বিলাপ। খুঁড়ে খুঁড়ে প্রসন্ন সঙ্গ আঁকে। এ কোন দহন? বাড়ন্ত জীবে। সোনাতন শরীর নুন জলে মেখে। এ কোন চক চকে সবুজ ডগায় রাঙা ফুল ফোটে?
=====


নোনা ধরা মাটি যাচ্ছে ক্ষয়ে


নোনা ধরা মাটি যাচ্ছে ক্ষয়ে
বাড়ন্ত সময়ও!
ধার চেয়ে ছিল শঙ্খচিল, উড়বার প্রত্যয়।


মাটি ক্ষয়ে যায় কালের খরায়
বাড়ন্ত কাল সেও!
আমলকি বন নিয়েছে বুকে করে, বাঁচবে বলে।


ধুলোর অঙ্গে জীবের নিঃশেষ চরাচর
মরনের সোপান!
জীবের যাপিত কালে এইতো সার, সর্ম্পিত জনম।
=====


মৃত্তিকা রুপের ব্যঞ্জনা মাখে


মৃত্তিকা চরাচরে কতই না স্বপ্ন উড়ে। ফড়িং ডানার মতো। ভাসান জলে নাও ভাসে। ছোট বড়। সমুদ্রে উম্মাতাল জাহাস। সবই পাড়ে ভিড়ে, জল বেলুনের রঙ এর মেলা।


পথের ঘাসে ঘাসফুল হাসে। প্রজাপ্রতি উড়ে। ভ্রুমর গুন গুন গানে। সোদা সোনালু ভুমি, কৃষকের স্বপ্ন উঠানে বধুঁযা ঘোমটা টানে। এলোমেলো হাওয়া, মৃত্তিকা রুপের ব্যঞ্জনা মাখে।
====


ঘোলা জলে দুরন্ত পোনা


ঘোলা জলের পুকুর পাড়ে
কিশোর জটলা লম্পঝম্পে,
আল খেল্লায় হুরো হুরি
কাদা জলে মাখা মাখি।


দুরন্ত পোনায় দুরন্ত কিশোর
দস্যি পোনায় বাড়ন্ত বিস্ময়,
বকুনি খেয়ে দুরন্ত পোনা
স্বপ্নঘোরে হাসে জলের তেষ্টায়।


ডুব সাঁতারের পানকৌড়ি
মাছ ধরার নেশায় মাতে
ঘোলা জলে দুরন্ত পোনা
হাসের ছানারা তা জানে।
======


ধুলোর আবরনে ঢাকা


তারই গরন ভরনে, আজ এমন জমিন বিশালয়। এমন নিপুন হাতের গড়ন। সৌর্ন্দয্যে সু’সুরম্য মৃত্তিকা কাননে, থোঁকায় থোঁকায় গাঁথা। এ কোন সুবর্ণ কথিকা? ধুলোর আবরনে ঢাকা।


তারই ধরনে বর্ণে বর্ণে, উচ্ছ্বল কথা মালা। এঁকে বেঁকে চলে কোন নদীর সমারহ জল? সমুদ্রে আলাপনে। হাসিতে কাদিতে মর্ম বিরহে, এ কোন সুর বাজে অহরহ পুঁজিতে তারে।
====


সোদা মাটির গন্ধ শুকে বাঁচে


প্রথাগত বান আদিতে ছিল
যে চিহ্ন আঁকা প্র-পিতামহ হতে
খড়গের মতো বসে থাকে ঘাড়ে
নিয়তির তরে প্রত্যহ!
তারে কি করে মুছে দেই;
ঝঞ্জা দ্রোহ খরায়
বাজতে বাজতে গর্জে উঠে বজ্রমুষ্টির প্রলয়
জীবন যুদ্ধের লড়াই।


এমনি কোন মৃত্তিকা গুহা সনে
আদি ঘন জনম; তারে কি করে
তুচ্ছ বলে মৃত্তিকা দোলায়
প্রত্যহ যায় ক্ষয়ে ক্ষয়ে; দায় মুছিতে মুছিতে
কাল বেলায় অপরাহ্নে এসে ডাকে
কোথা সেই মৃত্তিকা পাহলবি?
সোদা মাটির গন্ধ শুকে বাঁচে।
=====


কেন শুধু শুধু মাটিতে গড়াগড়ি?


কেন শুধু শুধু মাটিতে গড়াগড়ি?
ছোট বেলার সেই তো সুখ,
ধুলোর মাখা মাখি।


কেন তবে চারা বুনে কৃঞ্চ মুখে হাসি?
সেথায় যে লুকিয়ে নিদ্রা প্রহর,
আহারের কারা কারি।


কেন তবে এ বেদনা আঁকা বর্ণে বর্ণে?
ধুলি কোণা সে তো একই কথা বলে,
মৃত্যু নামের খোলা হাসি।
=====


পৃথিবী জোড়া মাটির গন্ধ


পৃথিবী জোড়া মাটির গন্ধ,
একই ধুলি কোণা; যেথাই যাও খুঁজে পাবে
প্র-পিতামহের নিশানা।


যুদ্ধে যুদ্ধে কত কত জনম?
মৃত্যুবানে ঢেকেছে; তবুও সেই একই কালের ঝঞ্জা
বারং বার বারং বার বাজে।
এ প্রান্তে সুখ খুঁজিতে,
যেতে যেতে ঐ প্রান্তে; তবুও কোথাও নেই?
আশ্রয় সুখের প্রান্ত।


সমতল ছেড়ে পাহাড় চুড়ায়
এঁকে বেঁকে উঠা শুধু জীবন নামে ঘটে; তবুও সেথায়
মেঘ অরন্য যাচে।
====


১৪২৩/২৫, মাঘ/শীতকাল।