পরবে যখন মনে


পরবে যখন মনে,
বসন্ত বেলার গানে;
পাখির কূ'জন বনে বনে
বাগান ভরে ফুলে ফুলে।


লাল পাঁপড়ি পলাশের,
সবুজ আগাছায় ঝরে পরে; ভ্রমর গুন গুন গানে
এ কোন মাদকতার সুর ভাসে?


চঞ্চল প্রলয় হাওয়ার মাতম,
দক্ষিণা দুয়ার খুলেছে আজ;
স্বপ্ন বুনুনে জোয়ার
ভেসে যায় রৌদ্র খোলা দ্রোহে।


বসন্ত বেলা যায় বয়ে,
খোলা হাওয়া বললে ডেকে; মেঘের চাদর যায় সরিয়ে
নীল কন্ঠে গান যে ধরে উদল আকাশ।
======


এই পথে, কত শত পথিক চলাচলে?


এই পথে, কত শত পথিক চলাচলে?
দেখে দেখে নিত্য ব‌্যাথা বুকে টলে;
যদি আসে, বটের ঝুড়ির নিত‌্য শীতল হাওয়া গায়ে
পথিক জিরয় প্রশান্তির আবেশে।
হাওয়ার নাচন, পাতার পত পত গানে
স্মৃতির আকন্ঠ তৃঞ্চা বুনে আনমনে
আকাশ দেখে দেখে যাতনার নির্ঝর বারি ঝরে।


যদি সে, পথ ভুলে আসে এই পথে
পথের ধুলোয় তার নন্দন পাদুকার চিহ্ন আঁকে
পথ তারে সহিঞ্চু আঁচলে বাঁধবে বলে
আগাছার লকে লকে বেনুফুল,
মন কারবে তার!
ধ্রুবতি দক্ষিণা হাওয়ার গান মাতাবে তারে।
খসে পরা শঙ্খচিলের পালক!
তার যুগোল পাদুকার সমুখে;
স্মৃতির আলখেল্লা উড়ায়।
======


সেই তো চলে গেলে


সেই তো চলে গেলে
কালের সহদর হয়ে; পৌণপৌনিক
নিত্যচরা চর ভুলে।


দায় কার?
সে কোন কালেরই বা ছিল?
প্রচ্ছন্ন ছিমছাম
কাদা জলের;
মাছে খেলায়
জলঘোলা বুনে যায় নিত্য।


খড়গ ধরেছে
কালের গলায়
মুন্ডপাত হবে এবার
সর্বনাশ যে তারই সব
সয়েছে নিরবে নিরবে।
======


কথা দিয়ে ছিল


কথা দিয়ে ছিল, আসবে কোন এক কালে? মৃত্যু জনম গেল, রইয়ে সইয়ে। কথার জল ঢেলে। যেন কলমি লতা ভাসে জলে। বাতাস বয় এলোমেলো। কখনো উত্তরের। কখনো আবার নিমগ্নতায় ডুবে। সেই তো কালের পথ চেয়ে চেয়ে দিন গুনা। ফিরে ফিরে আসে বসন্ত পল্লব। আমের বোলে মকুল ঘন ঘ্রাণ। শুধাই কারে? এমনি অম্ল বদনে যদি প্রসন্ন দ্বীপ জ্বালে। কত মগন সন্ধ্যা ধ্যানে রইল বুঝি দূরে। কথা দিয়ে ছিল, আসবে।
=====


বলে ছিল, আসবে


দিগন্ত পাড়ে,
নীল মিতালি;
রং ছড়ালো ঐ
কেশ ঘন রাশি রাশি
বন্য নীলের সাজ!


নেই নেই
কোথাও আজ
ধুঁয়াশার আকাশে ঢাকা!
ফিরে আসে ঐ
বিপন্ন চাঁদোয়া;


হাতে হাত রাখা
কলঙ্ক মৃদু মাখা
যতই যাও দূরে বহু দূরে
অন্তহীন নক্ষত্র ভেদে
বলে ছিল, আসবে।


১৪২৩/২২, ফাল্গুন/বসন্তকাল।