সপ্তক-০৫


স্বপ্নঘোর


বসন্তে,
কেন যে শ্রাবণ যাতনা?
ভালই তো লাগে
রিম ঝিম ঝর ঝর বরিশন।


কদাচিত পথিকের বিদ্রুপ
না হলে একটু নিরবতায় ডুবে যাও
রাত যাতনার মতো কুন্ডলি প্যাকে
শুধু মাঝে মাঝে খুক খুক কাশ!
মাতার উপর ঘুড়ছে দ্রুত গতির ফ‌্যান
আহম্মকের মতো এপাশ ওপাশ
গভির রাতে স্বপ্নঘোর
বিদঘুটে এক অন্যরকম স্বপ্ন
যা ভাবনায় ছিল না কোন কালেই
আফ্রিকার জঙ্গলে কাতরানো!
যে না কি এই শহরেই?
পরে পরে কাতরাছে দুই যুগ ধরে;
=====


আঁধার পট


রাতে ঘরময় করে খেলা,
দোস্তনা
যুগোল বন্দি গায়; প্রনমি
বাতাস জানলায় পর্দার সিঁথান ধরে!
মাথার উপর ঘূর্ণিয়মান
ঝক ঝক টক টক টিক টিক
আওয়াজ তুলে!
আঁধার রাত আঁধার ঘর জুড়ে;
সাম্যবাদি খেলায় মাতে
জানলায় তখনো
নিশুতি রাতের কিন্নর
ভুতুরে অবয়ব যেন ভেসে আসে
ঘর ভরতে থাকে মিশ্র কিন্নরির ঝাঁকে
রাতের গভিরে! মূর্তিমান ঘর যেন
কিন্নর নপুরে ঝঙ্কারে জ্যামিতিক
পরিমার্জনে বিশাল বিভাস
মন্ডলিতে পরিনত হয়।
====


ঘটে প্রশ্ন


কত কথাই তো ছিল তার সাথে? বালুকা বেলায়। মায়ার গহন লাগা সুখ শৈশবে। আগ বারিয়ে কত ভাবনাই না নাড়া দিত মস্তকে? যদি যদি করে কত কত প্রশ্ন গেছে ক্ষয়ে? এটা নয় যদি এমন হত, তবে তো বেশ হত। কেন এমন হল? শত প্রশ্ন বানে, উত্তর সহজ বা কঠিন; তা ছিল ম্রিয়মান।


কাটিতে সেই ভ্রুম। বেলা গেল গরিয়ে বেশ খানিক। তবুও নন্দন পুরোনিয়া রইল পরে সমুখে।
=====


মিছিল


আলো ছড়িয়ে রোদের মিছিল
দক্ষিণা হাওয়ার মিছিল
সমুদ্র তীরে সফেদ ফেনার মিছিল
জলে ছল ছল মেঘের মিছিল।


মানুষে মানুষে কথার মিছিল
প্রহর গুনা ভোরের মিছিল
আলতো পায়ে পথের মিছিল
নগর জুড়ে জনতার মিছিল।


কবির খাতায় কবিতার মিছিল
দগ্ধ জনতার দ্রোহের মিছিল
খোলা জানলায় স্বপ্নের মিছিল
মৃত মানুষের শোকের মিছিল।
=====


বাঁধে আকন্ঠ!


আসুক ঢল,
নামুক বর্ষা!
জেঁকে বুসুক উতল হাওয়া
ফুল চাষির লকলকে মনে;
উঠুক জেগে!
গোলাপ সাজির গন্ধ সম্ভার
যেন ওম চাষে
গন্ধ বিলায় ভোরে, সাঁঝ আঙ্গিনায়।


শত মহিমা গুলে
জেগে আছে সে; আড়ম্বর
রুপকার সে সাজিয়ে বিশালয়
দূর হতে চোখে চোখে
রাখে পাহারায়।
প্রেম সেতো ছিটে ফোটা
শিশির বিন্দুর ক্ষিণ
তাতেই মোহ মায়ায়
বাঁধে আকন্ঠ!
======


নষ্ট বাতিঘর


আদিমতায় নষ্ট ছিল। বোধ ছিল না বলে। তাই তো নষ্ট দ্রোহে তারা করত উল্লাস। বোধের পূণতায় সেই তো ফেরা! যবে মায়া ধরেছে টান। তবুও নষ্ট কর্দয কমেছে কি কিছু? পরম্পরা রক্ত গহন ধাম। তাই তো রয়েছে এখনও তার অগ্নিদর্প যশ।


পান থেকে চুন খসলেই নস্ট প্রতাপ; শরীর ভ্রমে খেলা করে অহর্নিশি।  বোধের বিবর্তনে ফিরতে লেগেছে কত কাল? জানা নেই করো, বাতি জ্বলে নষ্ট বাতিঘরে আজও।
=======


ফিরবে বলে


ফিরবে বলে এই পথেই!
কই আসলে না আর? নন্দন বাতাস বার বার
এলো ফিরে; শুধু এলে না তুমি!


বার বার তাপ দাহে ধুইয়ে দিল বর্ষা
শরত বুনুনে সাদায় শুভ্রতা
হেমন্ত দহনে নবান্য উঠান জুড়ে
সুখ নিত্য পথে ঘাঠে; তবুও ফিরলে না


পথের ধুলায় শিশির ঝরায়
স্যাঁত স্যাঁতে কাপঁনে
উত্তরের ক্ষেপ আগল খুলে
ঝরা পাতার মর্ম গীত বনে বনে
পথে পথে জরার্জিনতা কাঁদে
ফিরবে বলে;
এলো মার্ধুয্যমন্ডিত যৌবন
ফেরার গান ধরে!
পথে পথে মাদার মকুল
পলাশ, শিমুল আরও কত বসন্ত সম্ভার
পথের আঙিনায়; তোমার পথে
=======
৬, চৈত্র/১৪২৩/বসন্তকাল।