====ফাগুন রাতে বৃষ্টি


ফাগুন রাতে আচমকা বৃষ্টি
আমার সন্ধ্যাবতী গাঁও যেন লাজে রাঙা হয়ে উঠে
ঘোমটা টানা লজ্জাবতী বধূয়া;
পঞ্চমীর চাঁদ ডুবে যায়
আঁধারে ঢেকেছে সন্ধ্যাবতী
রাতের তারাদের মেলায় একটু একটু করে
লাজ রাঙা বদনে উঁকি দেয় চুপি চুপি
পুবের মাঠ হতে ধেয়ে আসা বিবর্ণ কুয়াশা
তারাদের প্রচ্ছন্ন মায়া ময় আলোয় জেগে রয়
আমার সন্ধ্যাবতী গাঁও।


আচমকা জলে ভিজে চপসে যায়
ডোবার ধারে নলখাগড়ার বন; লজ্জাবতীর বিছানো শরীর
বধূয়ার আলপনা আঁকা ঘরে এখন ডাহুক ডাহুকি
বৃষ্টির ফোটা ঠোঁটে মাখে।


আগাছার বুনো ঘাসের ঝাড়ে
জোনক জোনাকির ঝাঁক মৃদু আলো আঁধারে জ্বলে নিভে
রাতে শিকারি পাখিদের পাখার শোঁ শোঁ আওয়াজ
কলার মোচায় বাদুর দ্রোহ যেন সন্ধ্যাবতীর পাহারায়
ভূতুরে কিট পতঙ্গ ব্যঙদের লম্পঝম্প।
আমতলা ভিজে স‌্যাঁত স্যাঁতে আমের মকুলে
মৌ মৌ বাসনা রাতের আঁধার যেন
সন্ধ্যাবতী জুড়ে সৌরভ ফেরি করে রাতভর।


======চাঁদোয়া সন্ধ্যাবতী
মায়ের আঁচলে চাঁদোয়া সন্ধ্যাবতী। বিনর্ম মমতায় জেগে থাকে। প্রপিতামহের সেই জাগ্রত কণ্ঠ আজও কি বয়ে বেড়ায়। পাড়ায় পাড়ায় বাড়ি বাড়ি। খড়ের ঝুপরিতে। টিনের চালে। ইট সুরকির দালানে। পাড়ার উঠানের ধুলোর পথে। পাড়ার মোরে আম বাগানে। শানবাঁধা পুকুর ঘাটে। শিউলি তলায়। কুয়াতলায়। পুকুর পাড়ে সারি তালগাছের পথ ধরে।


১৫ ফাল্গুন/১৪২৪/বসন্তকাল।