---নকশী কাঁথা জল সমুদ্র


সন্ধ্যাবতীর গায়েএখন শ্রাবণের বুনো গন্ধ
একটু বৃষ্টি নামলেই;  নষ্টালজিয়া দেয় ডুব
সন্ধ্যাবতীর চারদিক ডুবেছে; পুকুর, খালের পাড়
জল থৈ থৈ মাঠে গজিয়েছে নানা জাতের জলজ পানা।


আইল ডুবা মাঠের পর মাঠ
নকশী কাঁথা জল সমুদ্র; ছোট ছোট মাছ ধরা নৌকা
ধান ক্ষেতের জলসরোবর; শ্রাবণের ঢলে পড়া মেঘ
কৃঞ্চ কালো মৌনতার দিগন্ত।


---বৃষ্টি আঁধারে নেমে এলো শ্রাবণ


বৃষ্টি আঁধারে নেমে এলো শ্রাবণ
বৃষ্টি বাদল রোমন্থন সন্ধ্যাবতী
কাদা জলে ভিজে একাকার; যেন বেহুলার ভেলায় ভাসে
বেলা শেষে সাঁঝ লালিমা
সিক্ত বেহুলার ভেলা চমকায়
শীতল অধরে একি মৌনতার কাঁপন? সজনে ডালে ভেজা কাক
সন্ধ্যাবতীর আঁচল খোলা ডালে,পানকৌড়ি ঝাঁক ফিরে আসে সাঁঝে
সবে ছিটে ফোটা বৃষ্টির আড়ালে;
ঝাঁক বেঁধে কাক উড়ে সন্ধ্যাবতীর পাঁজরে।


খেয়া জালে মাছ ভরে সন্ধ্যা ঘনালে
শ্রাবণ এলে সন্ধ্যাবতী বেহুলার ভেলায় মজে
জেলে পাড়ায় শঙ্খধ্বনি তুলসী তলায় বাতি
পথিক সে তো কাদা জলে আঁটে স্বপ্নের ফেরি।


১৪২৫/ শ্রাবণ/ বর্ষাকাল।